নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সুষ্ঠভাবে আইপিএল আয়ােজনের জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই । তবে ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ডের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা SOP-তে যা যা নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে বেশ কিছু বিষয় পছন্দ হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির। আর তাই বিসিসিআইকে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে আইপিএলের দলগুলি। কী কী দাবি তাদের?
বিসিসিআইয়ের SOP অনুযায়ী, আমিরশাহী পৌঁছে ক্রিকেটার এবং সাপাের্ট স্টাফদের ছ’দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি চাইছে দিনের সংখ্যা ছয় থেকে কমিয়ে তিন করা হােক। তাদের কথায়, করোনা জেরে দীর্ঘদিন প্র্যাকটিসের বাইরে ক্রিকেটাররা। তাই আমিরশাহী পৌঁছে যদি তিন দিনের কোয়ারেন্টাইনের পর ক্রিকেটাররা মাঠে নেমে পড়তে পারেন, তবে আরও বেশি অনুশীলনের সময় পাবেন তাঁরা। কিন্তু বোর্ড চাইছে, আমিরশাহী পৌঁছনাের পর প্রথম, তৃতীয় ও ষষ্ঠ দিন ক্রিকেটারদের করোনা টেস্ট হবে। রিপাের্ট নেগেটিভ এলে তবেই তাঁরা অনুশীলনে নামতে পারবেন। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজির দাবি মানতে গেলে, দুইয়ের বেশি টেস্টের উপায় নেই। তাই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার বৈঠকে বসবেন আইপিএল (IPL) গভর্নিং
কাউন্সিল এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তারা।
বিসিসিআই চাইছে ২০ আগস্ট UAE পৌঁছে যাক সমস্ত দল। তবে চেন্নাই-সহ একাধিক দল আরও আগে পৌঁছে যেতে চাইছে সেখানে। তাই ১৫ আগস্টের পরই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় কি , সে প্রস্তাবও বৈঠকে রাখছে দলগুলি। পাশাপাশি বাের্ড জানিয়েছে, ক্রিকেটারদের মতাে তাঁদের পরিবার এবং দলের মালিকদেরও বায়ো-বাবরের মধ্যে থাকতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
এখানেই শেষ নয়, দলগুলির বক্তব্য, টানা ৮০দিন বায়ো-বাবরে থাকা বেশ কঠিন। তাই নির্দিষ্ট রেস্তরাঁ কিংবা পূর্বনির্ধারিত কোনও স্থানে ক্রিকেটারদের যাওয়ার অনুমতি দিলে ভাল হয়। একইসঙ্গে হােটেলে খাবার ডেলিভারিতেও ছাড় চায় তারা। এক্ষেত্রে কনট্যাক্ট লেস খাবার ডেলিভারির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিনারের আগে ক্রিকেটারকে যথাযথ নোটিশ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সৌজন্যে: সংবাদ প্রতিদিন