মাত্র চার ঘণ্টা সময়ের ব্যবধানে লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল গোটা দেশে। সমস্যার শুরু তখন থেকেই,,, ভারতবর্ষের মতো একটি জনবহুল দেশের কোটি কোটি শ্রমিক নিজের রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যায়। কিন্তু আকস্মিক লকডাউনে, হারিয়ে তারা কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন। লকডাউন এর প্রায় এক মাস পে, রাজ্য সরকার তৎপরতা শুরু করেন পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর।
কিন্তু, গভর্মেন্টের নিয়ম অনুযায়ী বাইরে থেকে কেউ আসলে তাকে 14 দিনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে। বাইরে থেকে আগত শ্রমিকরা আশ্রয় নিয়েছেন। তেমনই, বীরভূমের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শনে যান বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। আর সেখানেই তিনি শ্রমিকদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, “ হাজার হাজার মানুষকে তাে একসাথে রাখা সম্ভব নয় । সবার ক্ষোভ মেটানােও সম্ভব নয় । ডিম দিলে বলবে মাছ হয়নি , মাছ দিলে বলবে , মাংস হয়নি । কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এসে সবাই যদি জামাই আদর খোঁজে , তাহলে কি করে হবে ! ”
সংসদ সদস্যের এই বক্তব্য বেজায় চটেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি এই কথার দ্বারা কি শ্রমিকদের অপমান করা হলো না? এমনিতেই শ্রমিকদের নিয়ে, বিজেপি নেতাদের একের পর এক আক্রমণে, যখন দিশেহারা তৃণমূল কংগ্রেস তখন, শতাব্দি রায়ের মন্তব্য বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা দেবে বৈকি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সবাইকে একসাথে নিয়ে চলামুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র বার্তা দিয়েছেন।