নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজ্যের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বিঁধে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । এবার তাঁর নিশানায় রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি তথা এই মুহূর্তে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের মুখ্য উপদেষ্টা রিনা মিত্র। টুইটারে ধনকড়ের অভিযোগ, এই দু’জনের নিয়োগের পরও রাজ্যের নিরাপত্তা যথেষ্ট বিঘ্নিত। এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার স্পষ্ট কোনও মত প্রকাশ করছে না কেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
গত মাসে মুর্শিদাবাদ থেকে আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে মোট ৭ যুবকের গ্রেপ্তারি, তাদের জেরা করে বঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় জঙ্গি নেটওয়ার্কের সন্ধান, অস্ত্র কারখানার হদিশ, চমকপ্রদ সব তথ্য, এরপর বেলেঘাটায় বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ – একাধিক বিষয়কে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ফের রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেন রাজ্যপাল। টুইটে তাঁর দাবি, আল-কায়দার মতো জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গকে তাদের নিরাপদ ডেরা বলে মনে করছে, অবাধে গড়ে উঠছে বেআইনি বোমা কারখানা। এসব রাজ্যের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট চিন্তার। অথচ সেদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের তেমন নজর নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
Internal Security environment @MamataOfficial alarming with ‘al-Qaeda’ finding WB safe haven and free run for illegal bomb making.
All this even after appointing retd IPS Surajit Kar Purkayastha as State Security Advisor and Rina Mitra, as Principal Advisor, Internal Security.” pic.twitter.com/OWgciR01Jt
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) October 15, 2020
এ বিষয়ে তিনি রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থের নাম উল্লেখ করেছেন। রাজ্যপালের মতে, নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে সুরজিৎবাবু এবং রিনা মিত্র থাকার পরও উদ্বেগ কাটছে না। কেন এসব নিয়ে স্বচ্ছ নয় প্রশাসন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ধনকড়।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিংবা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের অসন্তোষ নতুন নয়। আগেও তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র সম্পর্কে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। টুইট করে তিনি অভিযোগ তোলেন যে ডিজি শাসকদলের কথায় চলছেন, তাই তাঁর তলব পেয়েও রাজভবনে দেখা করতে যাচ্ছেন না। ধনকড়ের এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র সংঘাত তৈরি হয় নবান্ন-রাজভবনের। মুখ্যমন্ত্রী পালটা রাজ্যপালকে চিঠি লিখে জানতে চান, রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদাধিকারীকে কেন এমন অপমান? এ নিয়ে উভয় তরফেই চিঠি আদানপ্রদানের পরিস্থিতি দ্বন্দ্বময় হয়ে ওঠে। আজও ফের টুইটারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ধনকড়। এবার রাজ্য এ নিয়ে কী জবাব দেয়, সেদিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
**সুত্র- সংবাদ প্রতিদিন