বলিউডের সরোবরে আর নেই ‘সরোজ’, প্রিয় কোরিওগ্রাফারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলিউড

বিনোদন
Spread the love

নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার ভোর হতে হতেই বলিউডের আকাশ ফের বিষাদের কালো অন্ধকার হয়ে গেল, চলে গেলেন (Saroj Khan Death) ৮ থেকে ৮০ র হৃদয় ‘ধকধক করনে লাগা’-র কারিগর প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। গত ২০ জুন শ্বাসের সমস্যা হওয়ায় তাঁকে মুম্বইয়ের গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না শ্রীদেবী, মাধুরীদের দোলা লাগানো নাচের নেপথ্যের কারিগরের (Saroj Khan)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। একসময় হিন্দি সিনেমার যেকোনও ভালো নাচেরই কোরিওগ্রাফি দেখলেই মানুষ বুঝে নিত এর পিছনে আছেন সরোজ খান নামের আপাত হাসিমুখ কিন্তু নাচের কড়া শিক্ষার সরোজ খান। বলিউডের বহু স্মরণীয় নাচের কোরিওগ্রাফ করেছিলেন তিনি। ৩ বার জাতীয় পুরষ্কারও পান এই কোরিওগ্রাফার।

সরোজ খানকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁর কোভিড- ১৯ পরীক্ষা করা হলে তার ফল নেগেটিভ আসে।তাঁর প্রয়াণের পর সরোজা খানের ভাগ্নে মণীষ জগওয়ানি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান যে, “রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি, এরপরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হয় এবং তিনি মারা যান”।

প্রবীণ কোরিওগ্রাফারের প্রয়াণে বলিউডের সবার চোখেই জল। বহু মানুষ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

অভিনেতা নিমরত কৌর টুইট করেন, “সরোজ জি-এই নামটির দৌলতে আমি জীবনে ‘কোরিওগ্রাফার’ ঠিক কেমন হয় তা বুঝতে পেরেছিলাম। তিনি এমন এক প্রতিভা যিনি তারকাদের নিজের আইকনিক কাজের মাধ্যমে আলাদা করে চেনাতে সাহায্য করেছেন, বলিউডে কোরিওগ্রাফির নতুন একটি ধরণ তৈরি করেছিলেন তিনি। এই দুঃসময়ে তাঁর প্রিয়জনরা যাতে মানসিক শক্তি ও সাহস পান সেই কামনা করি…”।

“বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার এবং তিনবার জাতীয় পুরষ্কার বিজয়ী সরোজ খানের মৃত্যুর কথা শুনে খুবই মর্মাহত হলাম। তিনি যে ২০০০ এরও বেশি নাচে কোরিওগ্রাফি করেন। তাঁর অসামান্য কোরিওগ্রাফির ফলে বহু নাচ শ্রোতাদের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছিল। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী এবং অনুরাগীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা”, টুইট করেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।

‘দেবদাস’, ‘জব উই মেট’ এবং ২০০৭ এর তামিল ছবি ‘সিংগ্রারাম’-এ তাঁর অসামান্য কাজের জন্য সেরা কোরিওগ্রাফার হিসাবে তিনটি জাতীয় পুরষ্কার পান সরোজ খান। বলিউডের তিনি ২ হাজারেরও বেশি গানের কোরিওগ্রাফি করেন।

তাঁর চার দশকের কেরিয়ারে, তিনি বলিউডের সর্বাধিক জনপ্রিয় বেশকিছু ট্র্যাকের সঙ্গে কোরিওগ্রাফ করেন।মনে পড়ছে ২০০৭ সালে করিনা-শাহিদ অভিনীত ছবি ‘জব উই মেট’ ছবিতে ‘ইয়ে ইশক হ্যায়’ এর নাচ, ‘তেজাব’ ছবিতে মাধুরী দীক্ষিত ‘এক-দো-তিন’, সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘দেবদাস’ ছবিতে ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন ও মাধুরী দীক্ষিতের ‘ডোলা রে’ নাচ।

তাঁর শেষ কাজ ছিল ২০১৯ সালে করণ জোহর প্রযোজিত ছবি ‘কলঙ্ক’ এ মাধুরী দীক্ষিতের “তাবা হোগায়ে” গানটি।
সৌজন্যে: NDTV বাংল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *