নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: মে মাসের শুরুর দিকেই লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল চিনারা। সরকারিভাবে সেকথা স্বীকার করার পর পিছিয়ে এল দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিন দুই আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইটে একটি নথি প্রকাশ করা হয়। যাতে স্পষ্টতই স্বীকার করা হয়েছিল, মে মাসে চিনা সেনাবাহিনী ভারতীয় ভূখণ্ডের বেশ খানিকটা ভিতরে প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার সেই খবর টুইট করেন রাহুল গান্ধী। প্রশ্ন তােলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রক যখন স্বীকার করছে, চান প্রধানমন্ত্রীকে চীনা অনুপ্রবেশ কথা অস্বীকার করছেন? রাহুল এই টুইটের পরই প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নথিটি।
কি বলা ছিল ওই নথিতে? প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইটে যে নথিটি আপলোড করা হয়েছিল, তাতে বলা হয়, মে মাসের ৫-৬ তারিখ থেকে প্রকৃত সীমান্তরেখা (LAC) বরাবর চিনা আগ্রাসন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সীমান্তে চিনা (China) আগ্রাসন’ নামের ওই নথিতে বলা হয়েছে, মে মাসের ১৭-১৮ তারিখের মধ্যে প্যাংগং হ্রদের উত্তর দিকে, গােগরা এলাকায় এবং কুংরাং নালা এলাকায় চিনারা ঢুকে পড়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Ministry of Defence) ওয়েবসাইটের wha’s New’ বিভাগে নথিটি আপলােড করা হয়েছিল। সরকারের এই স্বীকারোক্তি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর আগে সরকারিভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা আগ্রাসনের কথা স্বীকার করেনি কেন্দ্র। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নিজে সর্বদল বৈঠকে ঘােষণা করেন, কোনও চীনা সেনা ভারতীয় এক ইঞ্চিও প্রবেশ করতে পারেনি।
এই নথি প্রকাশ্যে আসার পর আসরে নামেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার রাহুল টুইট করে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন কেন? এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, রাহুল শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন চিন ভারতীয় ভূখণ্ডের দখল নিয়ে বসে আছে, অথচ মােদি তা স্বীকার করছেন না। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের নথি হাতে পেয়ে আবারও একই দাবি করেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু রাহুলের টুইটের কিছুক্ষণ পরই ওই নথি সরিয়ে দেওয়া হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে।
সৌজন্যেঃ সংবাদ প্রতিদিন