হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অঞ্জলী নুসরাত, মহুয়া, সৃজিতের। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় অজয় কুমারের

দেশ

নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়া দুর্গোৎসবে যেন সেই আমেজটা চোখে পড়ছে না। চিরাচরিত প্রথার বিপরীতে গিয়ে সকল শ্রেণীর মানুষের আনন্দ উৎযাপন করছে অন্যভাবে। যেটুকুও বা ছিল তাও হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে, ক্লাব সদস্য না হয়েও, অষ্টমীর সকালে মণ্ডপে প্রবেশ করে যারা অঞ্জলি দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এবার আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন মামলাকারী অজয় কুমার দে’র আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

প্রশ্ন উঠতেই পারে, কারা এরা। না, এরা নিছকই সাধারণ মানুষ নয়, এরা বড় বড় সেলিব্রেটি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, নুসরত জাহান থেকে শুরু করে চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শনিবার অষ্টমীর সকালে এদেরকেই মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দিতে দেখা গিয়েছে।

এবিষয়ে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ সকলের মেনে চলা উচিত। তাছাড়া কেউ যদি জনপ্রতিনিধি হন, নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্বটা আরও বেড়ে যায়। আমরা সবটাই নজরে রাখছি। যাঁরাই নির্দেশ অমান্য করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”

অষ্টমীর সকালে, সুরুচি সংঘের পূজামণ্ডপে অঞ্জলি দিতে দেখা যায় অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান ও তাঁর স্বামী নিখিল জৈনকে। এছাড়াও মণ্ডপে অঞ্জলি দেন চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মিথিলা। মণ্ডপে তাঁদের ঢাকের তালে নাচতেও দেখা যায়। এছাড়াও মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দিয়েছেন আরেক সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।

সব্যসাচী বাবুর মতে, ”নুসরত জাহান বা মহুয়া মৈত্র – যে কেউ অঞ্জলি দিতেই পারেন যদি তিনি পুজো উদ্যোক্তা হন বা সদস্য হন। কিন্তু আমরা যতদূর জানতে পেরেছি নুসরত জাহান ওই এলাকার বাসিন্দা নন। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানাব এবং আইনি নোটিস পাঠাব। তাছাড়া মহুয়া মৈত্রর কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না। তিনি একাধিক সাংবিধানিক মামলায় নিজে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি আইন মানবেন, মানুষ এটাই আশা করে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, নুসরাত ওই ক্লাবের তিন বছর আগে থেকেই সদস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *