নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা, বর্তমানে আমাদের মনে একটাই আতঙ্ক। বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, আবার সুস্থও হচ্ছেন। চলছে ভ্যাকসিন আবিস্কারের পালা। ইতিমধ্যে রাশিয়া ভ্যাকসিন আবিস্কার করেও ফেলেছে।
আর এবার, আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে সাধুবাদ ছিনিয়ে আনল বাংলা। বিরোধী দলের লাগাতার অভিযােগ সত্ত্বেও রাষ্ট্রসংঘের শান্তি পরিষদ থেকে করোনা মােকাবিলায় পারদর্শীতার জন্য প্রশংসা পত্র আদায় করে আনল রাজ্য সরকার। এমন বিশ্বব্যাপী অতিমারীর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে মানবদরদী ভাবমূর্তি বজায় রেখেছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের তরফে পাঠানাে “সিম্বল অফ গ্র্যাটিটিউড” শংসাপত্রে, মঙ্গলবার জাপানে অবস্থিত ইউনাইটেড নেশন ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাসােসিয়েশনের পক্ষ থেকে ই-মেইল মারফৎ জানানাে হল এই খবর। রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ নির্মল মার্জিকে পাঠানাে ওই চিঠিতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি পরিষদের তরফে লেখা হয়েছে, “আমাদের প্রতিনিধি মারফৎ আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং আপনার বিষয়ে জানতে পেরেছি। করোনা পরিস্থিতিতে আপনাদের মানবদরদী মুখ্যমন্ত্রীর দারুণ কৃতিত্বের বিষয়েও জেনেছি। মানবজাতি আপনাদের নিরাপদ হাতে রয়েছে। কৃতজ্ঞতা এবং প্রশংসার প্রতীক হিসেবে আপনাদের একটি শংসাপত্র তুলে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউনাইটেড নেশন ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাসােসিয়েশনের তরফ রাজ্য প্রতিনিধিদেরও জাপানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। করোনা যােদ্ধা হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্মান পাচ্ছেন নির্মল মাজিও। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রােগী কল্যান সমিতির সভাপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দিদির সততা এবং দায়বদ্ধতার কাজে আমি একজন সৈনিক মাত্র। দিদির কাছ থেকেই শেখা সারাদিন কীভাবে কাজ করে যেতে হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “করোনা পরিস্থিতি সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে প্রায় ১৮ ঘণ্টাই বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে বেরিয়েছি। কখনও মেডিক্যাল কলেজ, কখনও বেলেঘাটা আইডি, কখনও বা চিত্তরঞ্জনের মতাে হাসপাতাল। সরকারি ক্ষেত্রে কীভাবে মানুষকে ভাল পরিষেবা দেওয়া যায় সেই দিকে খেয়াল রেখেছি, আজকের এই সম্মান আমি আমার পথপ্রদর্শক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করলাম।”