নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নজিরবিহীন ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রের নয়া শিক্ষা নীতির বিরােধিতা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে বিধে তাঁর মন্তব্য, “ওরা সব কিছুতেই বিরােধিতা করে। কিন্তু জিএসটি’র (GST) টাকাটা চাই। কিছু একটা হলেই টাকা চাই, টাকা চাই, ভিখারির মত করে এরা।”
বুধবার সকালে বােলপুরে চাই পে চর্চায় একাধিক বিষয় নিয়ে আলােচনা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্যের পদ পাওয়া শােভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও।
এদিন বোলপুর প্রাতঃভ্রমনে বেড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
বোলপুরের বাঁধগোড়া যে চায়ের দোকানে চায়ে পে চর্চা হওয়ার কথা ছিল, সেই দোকানে এসে দেখেন, দোকান বন্ধ। এরপর পাশের একটি দোকানে বসে সকলের সঙ্গে জনসংযোগ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের অভিযােগ, তিনি যেখানেই চায়ে পে চর্চা করতে যান, সেখানেই চায়ের দোকান ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাওড়া থেকে ইকো পার্ক, গলফ ক্লাব সর্বত্র তাই হয়েছে বলেই অভিযােগ। এরপর তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে তাপ দেগে আরও বলেন, “কেন্দ্রের ট্রেন, বিমান ঢুকতে দেবে না। কিন্তু চাল, ডাল নেবে। কারণ, ওটা লুট করতে সুবিধা হয়।”
কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শােভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) বিজেপি রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, শোভন পুরাে কাজের মধ্যে থাকুন। তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পার্টি লাভবান হােক। সেই জন্য তাঁকে আমরা আহ্বান করেছি। উনি যে ধরনের কাজ করতে চাইবেন, সেই ধরনের কাজই আমরা ওনাকে দিয়ে করাব।”
অন্যদিকে, বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম সাংগঠনিক বৈঠকে যােগ দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ লকডাউনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, “করোনা আটকাতে নয়, বিজেপিকে আটকানাের জন্য লকডাউন করা হচ্ছে। ভাবে লকডাউন করে কোনও লাভ হচ্ছে না। বরং সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। পরীক্ষার আগের দিন লকডাউন করার কী মানে হয়? এটা অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত।”
সুত্রঃ দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন