নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েক মাস পরেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দলবদলের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই দলবদলের প্রবণতা অবশ্য আগে থেকেই রয়েছে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হু হু করে ভাঙিয়েছিল কংগ্রেস কে। এবার তাদের দলকেই ভাঙছে বিজেপি।
কয়েকদিন আগে থেকেই তিনি বেসুরো গাইছিলেন। শেষপর্যন্ত তৃণমূল ছাড়লেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। আজ সন্ধে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দল ছাড়ার ঘোষণা করেন তিনি।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘গত ৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে তৃণমূল কংগ্রেসের যাবতীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এও জানিয়েছিলাম, দলনেত্রীর নির্দেশ পেলে আমি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে পারি। তারপর প্রায় দুমাস হতে চলল আমি যেমন নিজের বিবেকের সঙ্গে ও নিজের যুক্তিবোধের সঙ্গে চিন্তন-মন্থন করেছি তেমনই আমার ভাবনাকে মানুষের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত শেয়ার করেছি। যে সব মানুষ আমার ভাবনাকে যুক্তিযুক্ত ভেবে স্বাগত জানিয়েছে তাঁদের উদ্দেশ্যেই আবার বলি, গত দশ বছর যে তৃণমূল দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত ও অপমানিত হয়েছি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নীরব ও প্রচ্ছন্ন মদত যুগিয়ে গিয়েছেন, দলনেত্রীকে সেসব কথা বারংবার জানিয়েও পরিস্থিতির ইতরবিশেষ হয়নি। আজ সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করার সময় অনুভব করেছি, বাইশ বছর আগে যে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম, আজকের তৃণমূল সেই দল নয়। এই দলে আমার জায়গা নেই। তাই আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা করছি, আমার দীর্ঘদিনের সাথী বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মার্জ্জনা করবেন।’
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=120559319866813&id=100057382352399
যদিও এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি।
তবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কোন দলে যাবেন তাও স্পষ্ট করেননি।