ব্রেকিং: ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার বিগ্ৰেডের পথে বাম। আমন্ত্রিত কংগ্রেস

দেশ

নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল বামেরা। মাঠ ভরে গিয়েছিল জনগণে। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে তার প্রতিফলন ভোটের বাক্সে পড়েনি। -এর কারণ হিসেবে অবশ্য কেউ কেউ সংবাদ মাধ্যম কেই দায়ী করেন। কারণ ব্রিগেড সমাবেশের সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের পদস্থ অফিসারেরা কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গেলে সিবিআই অফিসারদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পার্ক ষ্ট্রিট থানায়। পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ‘সিবিআই হানার’ প্রতিবাদে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সংবাদমাধ্যমের যাবতীয় আলো ঘুরে যায় সিবিআই বনাম রাজ্য সরকারের ল়ড়াইয়ের দিকে।‌

সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বারের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে অনেক সতর্ক রাজ্য সিপিএম। সমাবেশের প্রস্তুতি থেকে প্রচার— সবকিছুতেই প্রথম থেকে নজর রাখছেন সিপিএমের রাজ্যনেতৃত্ব। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার অর্থাৎ ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ ডাকছে বামফ্রন্ট। তবে ওইদিনটি এখনও চূড়ান্ত সম্মতির অপেক্ষায়।

এ প্রসঙ্গে, আজ সিপিএমের এক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বলেন, ‘‘ একুশের বিধানসভা ভোটের আগে যে বড় সমাবেশ হবে, তা আগেই স্থির ছিল। কিন্তু নির্বাচনী সময়সূচির কথা মাথায় রেখে ব্রিগেড সমাবেশ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার করা হচ্ছে।’’

পাশাপাশি ব্রিগেড সমাবেশের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি— দু’দলই চাইছে রাজ্যে স্পষ্ট মেরুকরণের ভোট হোক। তাতে দু’পক্ষেরই সুবিধা। কিন্তু তেমন হলে বাম-কংগ্রেস জোটের ক্ষতি হবে। তাই বড় সমাবেশ করে ফ্রন্টের নীচুতলার কর্মীদের বার্তা দিতে হবে যে, আমরাও এই দুই শক্তির বিকল্প হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছি। সেই বার্তা দেওয়ার জন্য ব্রিগেড সমাবেশই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ উপায়।’’

বামেদের ডাকা এই ব্রিগেড সমাবেশে নজীরবিহীন ভাবে কংগ্রেসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় রাজনীতিতে ‘সম মনোভাবাপন্ন’ বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে ব্রিগেড সমাবেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *