বাইরন জোড়াফুলে। ফের বিধানসভায় শূন্য কংগ্রেস

নবান্ন দখলের লড়াই পশ্চিমবঙ্গ

নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: ২০২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে খাতা খুলতে পেরেছিল না বাম-কংগ্রেস। রাজ্যে কার্যত শূন্য হয়ে গিয়েছিল তারা। সেবার তৃণমূল কংগ্রেস ২১৫টি আসন পেয়ে রাজ্যে সরকার গঠন করে। ৭৭ টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের মর্যাদা পায় ভারতীয় জনতা পার্টি। ১টি আসন পায় ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট।

তবে ২০২৩ সালে মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হন এবং বিধানসভায় খাতা খোলে কংগ্রেস। তবে নির্বাচনে জেতার তিন মাসের মধ্যে বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দিলেন। ফলে বিধানসভায় ফের শূন্য হয়ে গেল কংগ্রেস।

আর‌ও পড়ুন: HDFC BANK Recruitment Open: HDFC ব্যাঙ্কে ১৪০+ শূন্যপদে আবেদন শুরু। বিস্তারিত জানুন…

আর‌ও পড়ুন:New Parliament Building: নতুন পার্লামেন্ট ভবন সম্পর্কে এই তথ্য গুলো অবশ্যই জেনে রাখুন।

গতকাল ঘাটালে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ‘নব জোয়ার’ যাত্রার মাঝে এক জনসভায় তৃণমূলে যোগ দেন বাইরন বিশ্বাস। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এরফলে আবার বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেল কংগ্রেস।

বাইরন বিশ্বাসের এই দলত্যাগ নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘বিধানসভায় জয়ের পর বাইরনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। জনসংযোগ যাত্রাতেও আমাদের কথা হয়েছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই সর্বাত্মক করতে বাইরন তৃণমূলে যোগ দিলেন। আমি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছি। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে জোর গলায় লড়াই করবেন।’’

দল বদল করার পর বাইরন‌ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আরও বেশি মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সাগরদিঘির সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই এই পদক্ষেপ।’’

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়েছিল সাগরদিঘি আসনটিতে। এর পর গত ২ মার্চ সাগরদিঘির ফল ঘোষণা হয়। তাতে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই আসনে বাইরন জেতেন প্রায় ২৩ হাজার ভোটে। ওই উপনির্বাচনে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, তৃণমূলকে ‘বধিবে যে’ সাগরদিঘিতে ‘বাড়িছে সে’। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বাইরনই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেলেন সোমবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *