নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর পূর্ব দিল্লিতে একের পর এক দাঙ্গা এবং সহিংসতার ঘটনা শুরু হয়, যার ফলে ৪৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জন আহত হন। আর এই দিল্লি দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্ৰেফতার করা হয় উমর খলিদ কে। তারপর আজ ছাত্রনেতা উমর খলিদকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নিল দিল্লি পুলিশ।
এরপর তাঁকে জেরা করার জন্যে একটি ১১ লক্ষ পাতার নথি তৈরি করেছে পুলিশ। ২৪ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে তােলা হবে উমর খলিদকে।
উমর খালিদকে গ্ৰেহতারি বিষয়ে মুখ খুলেছে সিপিআইএম। এবিষয়ে সিপিআইএম এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন “এভাবে সন্ত্রাসবাদ মােবাকিলা আইনে (ইউএপিএ) উমরকে গ্রেফতার করা আসলে গণতন্ত্রের বহুস্বরকেই রুদ্ধ করা হয়েছে। দুই বিজেপি নেতা প্রকাশ্যে ঘৃণা ছড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি সরকার। অথচ বেছে বেছে তরুণ সিএএ বিরােধিদেরই জেলে ভরছে দিল্লি পুলিশ। যে অভিযােগে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আইন হাতিয়ার করা হচ্ছে তা দিল্লি পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মনগড়া।
সিপিআইএম-এর মত, আসলে আগামি দিনে আন্দোলনের কোমর ভেঙে দিতে চাইছে কেন্দ্র। এই
কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছে ইউপিএ-এর মতাে
আইন। যাতে অভিযুক্তর বিচার পেতে বেগ পেতে হয়। এই কারণেই উমরের আগে নতাশা নারওয়াল, দেবাঙ্গনা কালিটার মতাে জেএনইউ পড়ুয়াদরও একই ভাবে আটক করা হয়েছে।”