নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ৩৪ বছরের বাম শাসন। জ্যোতি বসুর পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, এই দুই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে টানা ৩৪ বছর শাসন করেছেন বামেরা। এরপরই হঠাৎ ছন্দপতন। ২০১১ সালে বামকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট সরকার। পট পরিবর্তন, রাজ্য পাট হারিয়েও প্রধান বিরোধী দল ছিল সিপিএম। কিন্তু সেটাও ধাপে টিকল না, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলের তাকমা হারালো সিপিএম।
এবার মিশন ২০২১, ফের শাসন ক্ষমতা ফিরে পেতে মরিয়া বাম। কিন্তু রাজ্যে ফের ক্ষমতা দখল এখন তাদের কাছে দিবা স্বপ্ন। রাজ্য প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বারে বারে উঠে এসেছে বিজেপির নাম। তবে প্রধান বিরােধী শক্তির তকমাটা আপাতত ফিরে পেতে চাইছে সিপিএম। এবং এক্ষেত্রে তাদের লড়াই বিজেপির সঙ্গে।
বর্তমানে নির্বাচনী ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া একটি বিরাট বড় প্ল্যাটফর্ম। গত কয়েক বছরে বছরে এ রাজ্য বিজেপির বিরোধী শক্তি হিসেবে ক্রমাগত উত্থানের পিছনে একটা বড় ফ্যাক্টর তাদের শক্তিশালী সোশ্যাল মিডিয়া সেল। ফেসবুক-টুইটার- হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে গেরুয়া বাহিনীর সোশ্যাল মিডিয়া সেল খুব দ্রুত দলের নেতাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে শাসকের নেতিবাচক দিকগুলি খুব সুন্দরভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরেছে। সেখানে বামেরা বিরােধী হিসেবে অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু যুগ বদলেছে, তাল মিলিয়ে বদলেছে রাজনীতির প্রেক্ষাপটও। সেটা একটু দেরিতেই বুঝেছে সিপিএম। এবার তাই সােশ্যালে মিডিয়ায় আধিপত্য বাড়াতে চাইছে সিপিএমও। এক্ষেত্রে তাদের সেই চিরাচরিত গণসংগঠনের কায়দায় একেবারে দক্ষ “হোয়াটসঅ্যাপ সেল” গড়ার উদ্যোগ নিল আলিমুদ্দিনের ম্যানেজারেরা। আপাতত খসড়া আকারে পরিকল্পনা গ্ৰহণ করা হয়েছে। তবে তা দ্রুত বাস্তবায়িত করতে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে সিপিএমের এই হোয়াটসঅ্যাপ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেনতেন প্রকারে তারা বিজেপির আইটি সেলকে টক্কর দিতে চাইছে। যাতে নিদেন পক্ষে পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে নিজেদের ভােট ব্যাংকের ভাঙন যায়।
“এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ” -থেকে জানা যায়, রাজ্যস্তরে প্রতিটি জেলার নেতা, গণসংগঠনগুলির নেতা, সােশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে গঠন করা হবে রেড স্ট্রিম কোর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। জেলাস্তরে সম্পাদকমণ্ডলী, জেলা কমিটির সদস্য ও এরিয়া কমিটির সম্পাদকদের নিয়ে থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এর পাশাপাশি ব্লকে ব্লকে, বিধানসভা ভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হবে। রাজ্য দফতরে পাঠাতে হবে জেলা কমিটির সব সদস্যদের নাম ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর।