নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: নন্দীগ্রাম হত্যালীলা! ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ যে হত্যালীলার মধ্যে দিয়ে এরাজ্যে পট পরিবর্তন হয়েছিল। নন্দীগ্রাম গণহত্যার দায় নিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল সিপিএম। আর এই গণহত্যা কেই আন্দোলনের পটভূমি করে সরকার গড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, দীর্ঘ ১৪ বছর পর, সেই ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য কে হাতিয়ার করে ভোট ময়দানে নামল রাজ্য সিপিএম।
আরও পড়ুন: ব্রেকিং: অসুস্থ এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার
জানা গিয়েছে, রবিবার নন্দীগ্রামে শেষদফার প্রচার শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই রেয়াপাড়ার একটি মঞ্চ থেকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যারা গুলি চালিয়েছিল আপনাদের মনে আছে, পুলিশের ড্রেস পরে এসেছিল অনেকে। মনে আছে? মনে পড়ছে? অনেকে পুলিশের ড্রেস পরে এসেছিল। নিশ্চয়ই ভুলে যাননি! নন্দীগ্রাম, নন্দীমা, আমার মনে আছে সব। আমি ডেট ওয়াইজে বলে দেব। মনে আছে, হাওয়াই চটি পরে এসেছিল বলে ধরা পড়ে গিয়েছিল। এ বারেও সেই সব কেলেঙ্কারি করছে। অনেক বিএসএফ, সিআইএসএফ-এর ড্রেস-ট্রেস কিনেছেন। কারণ, যাঁরা এ সব করেন না তাঁরা জানেন। আর আমি এখনও বিশ্বাস করি, আমি পরে শুনেছিলাম, এই বাপ-ব্যাটার পারমিশন ছাড়া সে দিন পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। আমিও একটা গভর্নমেন্ট চালাই। আমিও খোঁজখবর পরে নিয়েছি। দেখুন, আমি ভদ্রলোক বলে কিছু বলিনি। ফেয়ার এনাফ!’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ময়দানে নেমেছে সিপিএম। এমনকি, সেই সময় যে সব বামপন্থী মনোভাবাপন্ন যুবক-যুবতী বুদ্ধদেব এবং তাঁর বক্তব্যকে খারিজ করেছিলেন, তাঁরা নেটমাধ্যমে সরাসরি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কাছে ক্ষমা চাইতে শুরু করেছেন। এবিষয়ে একজন লিখেছেন “সেই বুদ্ধিজীবী গুলোর উচিত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কাছে ক্ষমা চাওয়া।”
আরও পড়ুন: যেখানে ভোট পড়বে না সেখানে জলও পৌছাবে না। বার্তা তৃণমূল প্রার্থীর
বেকার যুবক-যুবতীদের পাশে দাঁড়িয়ে আরেকজন লিখেছেন “এরকম একটা সত্যি বেরোবে প্রত্যাশিত ছিল। আজ বুদ্ধবাবু জিতেছেন কিন্তু হেরে গেল একটা জেনারেশনের ১০ টা বছর,এর জন্য ঐ মহিলা সহ মীরজাফর বাপ ব্যাটা কে কেউ ক্ষমা করবেনা😠 পিসির সাথে বাপ ব্যাটা সমান দায়ী।সবকিছুর হিসাব হবে⚔️”
আরও পড়ুন: এবার থেকে রজঃস্বলা হলেই বিয়ে করতে পারবে মেয়েরা। ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’মেনে এই রায়
অনেকেই আবার বলছেন, “তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া অধিকারীদের সমালোচনা করতে গিয়ে, তাঁরা কতটা খারাপ, সেটা নন্দীগ্রামকে বোঝাতে গিয়ে আসলে মুখ্যমন্ত্রীর ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। বিজেপি-কে প্যাঁচে ফেলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই প্যাঁচে পড়ে গিয়েছেন।”