নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ হয়েছে ২০১৯ শের লোকসভা নির্বাচন। বিপুল পরিমাণ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর ক্ষমতায় এসেই তুলে ছিলেন ৩৭০ ধারা। এনেছিলেন এনআরসি-সিএএ আইন। আর এর পরেই গোটা দেশ এই আইনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল। আর এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল শাহিনবাগ, যা গোটা দেশে আড়োলন সৃষ্টি করেছিল।
আর এবার রীতিমত সবাইকে চমকে দিয়ে সপ্তাহখানেক আগে বিজেপিতে যােগ দিয়েছেন শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের নেতা শাহজাদ আলি। যোগ দিয়ে তিনি বলেন “বিজেপি মুসলিমদের শত্রু নয়।”
কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত, শাহজাদের এ যােগদান দিল্লি বিজেপির একাংশ একেবারেই ভালভাবে নেয়নি। তাঁদের দাবি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই নেতা দলে যােগ দেওয়ায় আসলে বিজেপির উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত রীতিমতাে বিপর্যয়’ ডেকে আনবে।
দিল্লি রাজ্য বিজেপির এক নেতা সংবাদসংস্থা পিটিআই কে জানিয়েছে,”এই যােগদানের ফলে দল দোটানায় পড়ে গিয়েছে। শুধু CAA বিরােধী আন্দোলনের জন্য নয়। ফেব্রুয়ারিতে ওই এলাকায় দাঙ্গাও হয়েছিল। সেটাও মনে রাখা দরকার। দলের কর্মীরা এতে অসন্তুষ্ট।” আরেক বিজেপি নেতার আবার দাবি, এই যোগদানের ফলে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও খুশি। তারা দিল্লি রাজ্য নেতাদের ডেকে পাঠিয়ে ভবিষ্যতে এই ধরনের রাজনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনার আগে পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও প্রকাশ্যে এই অসন্তোষের কথা কেউই স্বীকার করতে চাননি।