প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে দ্রুততার সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়ে হাতের অপারেশন করালেন দিপালী দে।

রাজ্য

নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: ক্ষমতায় এসেই একের পর জনমুখী প্রকল্প গ্ৰহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার অঙ্গ হিসেবে প্রকাশ হয়েছিল যুবশ্রী থেকে কন্যাশ্রী, রুপশ্রী থেকে সবুজ সাথী, সমব্যাথী থেকে খাদ্যসাথী। আর দিনকয়েক আগেই সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই প্রকল্প চালু করার পর বেশ কিছু ক্ষেত্রে অতিদ্রুত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড পৌছে দিয়ে প্রসংশিত হলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি।

জানা গিয়েছে, পূ্র্ব বর্ধমানের মেমারির ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা দিপালী দে। বয়স ৮২ পেরিয়েছে। নিঃসন্তান হওয়ায় একাই থাকেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবেশীদের কাছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের কথা শুনলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেখানে যেতে পারেননি।

এদিকে তাঁর হাতের অস্ত্রোপচার করা অত্যন্ত জরুরি। কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে কার্যত দেবদূতের মতো তাঁর পাশে দাঁড়ালেন পঞ্চায়েত সদস্য প্রলয় পাল। তাঁর উদ্যোগেই বুধবার পঞ্চায়েত সহায়ক শিবশংকর ভট্টাচার্য ও সোমশুভ্র মুখোপাধ্যায় বাড়ি গিয়ে বৃদ্ধার হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেন।
আগামী সোমবার দিপালীদেবীর হাতের অস্ত্রোপচার হবে।

উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগে অতি দ্রুততার সঙ্গে বেশ কয়েকজনের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *