সম্পাদকীয়: বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার! দেশের নিম্ন থেকে সর্বোচ্চ আদালত

সম্পাদকীয়

নজর বাংলা সম্পাদকীয় ডেস্ক: অক্ষরধাম মন্দির বম্ব ব্লাষ্ট মামলার অপরাধী হিসাবে, “আদম আজমিরী”, “মুফতি আবদুল কাইয়ুম”সহ, আরো চারজন-কে দোষী সনাক্ত করে, নিম্ন আদালত মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি প্রদান করে।

2014 সালের 16 ই মে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট, সকলকে নির্দোষ হিসাবে রায়দান করে। সবাই বেকসুর খালাস পেয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এটাও জানিয়ে দেয় যে, “অভিযুক্তদের কেবলমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে,, গুজরাট সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ষড়যন্ত্র করে,, ফাঁসিয়ে দিয়েছে।”

আর‌ও পড়ুন: ২০২১ সালের ভোটার তালিকা ডাউনলোড করুন সরাসরি। ক্লিক করুন এখানে

2002 সালের 24 সে সেপ্টেম্বর,,গুজরাটের অক্ষরধাম মন্দিরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।

সে সময় গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন, “নরেন্দ্র মোদী।” সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন স্বয়ং মোদী। নিম্ন আদালতের রায়দানের পর, আজকে দেশের যিনি আইনমন্ত্রী, মাননীয় “রবিশঙ্কর প্রসাদ” বিরোধীদের দিকে তোপ দাগেন, সেই সময় দেশের মিডিয়া ফলাও করে ব্যাপারটা সম্প্রচার করে চলে।

আমাদের চোখের সামনে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে,, নিম্ন আদালত এক সম্প্রদায়ের মানুষকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দোষী সাব্যস্ত করেছে, আর, পরবর্তী কালে উচ্চ আদালত, অথবা, সর্বোচ্চ আদালত তাদের বেকসুর খালাস করে দিয়েছে।

রবিশঙ্কর প্রসাদ, তার পার্টি বিজেপি, অথবা মিডিয়া, যতটা তৎপরতার সঙ্গে, নিম্ন আদালতের রায়দান সম্পর্কে সরব হয়ে পড়ে, উচ্চ আদালতে আরোপি দোষমুক্ত হবার পর, ততটুকু এক্টিভ থাকে না।

আর‌ও পড়ুন: প্রার্থী নেই! চারটি আসনে প্রার্থী‌ই দিতে পারল না আইএস‌এফ

কদিন আগেই, 122 জন তথাকথিত আতঙ্কবাদী, উচ্চ আদালত হতে বেকসুর খালাস হয়ে গেছে। কাকতলীয় ভাবে প্রায় প্রত্যেকটি ঘটনায় ঘটে থাকে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে, এবং, প্রত্যেকটি অভিযুক্ত, বিশেষ এক সম্প্রদায়ের।

এখন প্রশ্ন হলো, এদের জীবন থেকে মূল্যবান বেশ কয়েক বছর কেড়ে নেওয়া হলেও, এদের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্থা নেই। যদিও, জীবনের মূল্যবান সময় ফিরিয়ে দেওয়া, কোনভাবেই সম্ভব নয়, তবুও, নিদেনপক্ষে এদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।

আর‌ও পড়ুন: দলবদলের কামাল! দলত্যাগী সাংসদ-বিধায়কদের সম্পত্তি গড়ে ৩৯ শতাংশ বেড়েছে।

যারা এদের, কেবলমাত্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযুক্ত হিসাবে পেশ করে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। নচেৎ, আইন এভাবেই গুটিকয়েক মানুষের কায়েমী স্বার্থ চরিতার্থ করতে, ভুলপথে চালিয়ে যাওয়া হবে।

কলমে: আলম মিদ্দে

আর‌ও পড়ুন: ফের করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি। লকডাউনের পথে হাঁটল মহারাষ্ট্র সরকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *