নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পূজা বা বিশ্বকর্মা জয়ন্তী হচ্ছে একটি হিন্দুধর্মীয় উৎসব। হিন্দু স্থাপত্য দেবতা বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এই পূজা করা হয়। তাঁকে স্বয়ম্ভু এবং বিশ্বের স্রষ্টা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী পবিত্র দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা।
আরও পড়ুন: দৈনিক রাশিফল: আজ আপনার স্বাস্হ্য নিয়ে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই
ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিকে কন্যা সংক্রান্তি বলা হয়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী কন্যা সংক্রান্তির দিনই জন্মগ্রহণ করেছিলেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। সেজন্যই ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিনেই বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে৷ সেই হিসেবে আগামী ৩১শে ভাদ্র, ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো হবে।
বিশ্বকর্মা সাধারণত শিল্প-স্থাপত্য সহ বিভিন্ন নির্মাণের দেবতা। কল-কারখানা, অফিস ও অন্যান্য নির্মাণ সংস্থায় বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর মাসে কোন রাশির ঋণ শোধ হবে, বড় অসুখে পড়তে পারেন কোন রাশির জাতক? দেখুন
হিন্দুশাস্ত্রে দেবদেবীর আরাধানার জন্য তিথি এবং শুভক্ষণ নির্ধারিত হয় চন্দ্রের গতির ওপর নির্ভর করে। তবে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন তারিখ নির্ধারিত হয় সূর্যের গতির ভিত্তিতে। কন্যা সংক্রান্তির দিনে বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়।
কন্যা সংক্রান্তির সূচনা হবে রাত ১টা ২৯ মিনিটে। রাহুকাল শুরু হবে সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে এবং শেষ হবে ১২টা ১৫ মিনিটে।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে পুজোর তিথি শুক্ল পক্ষ একাদশী সকাল ৮টা ৩৪ মিনিট ২৫ সেকেন্ড পর্যন্ত।
বিশ্বকর্মা পুজোর সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ শুরু- সকাল ৬টা ৭ মিনিটে। বিশ্বকর্মা পুজোর মাহেন্দ্র যোগ শুরু- রাত ১০টা ২০ মিনিট ১৫ সেকেন্ড থেকে। সমাপ্তি- ১১টা ০৭ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী, নিয়ম মেনে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করুন। দূর্দান্ত ফলাফল পান
বিশ্বকর্মার ধ্যান মন্ত্র:
ওঁ বিশ্বকর্মন্ মহাভাগ সুচিত্রকর্মকারক্ ।
বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃক্ ত্বঞ্চ রসনামানদণ্ডধৃক্ ।।
অর্থ: হে দংশপাল (বর্মের দ্বারা পালনকারী ) , হে মহাবীর, হে বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ও বিশ্ব বিধাতা, হে সুন্দর চিত্র রূপ কর্মকারক , আপনি মাল্য চন্দন ধারন করে থাকেন ।
বিশ্বকর্মার প্রনাম মন্ত্র:
দেবশিল্পি মহাভাগ দেবানাং কার্য্যসাধক ।
বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টপ্রদয়ক ।।
অর্থ- দেবশিল্পী, মহাভাগ (দয়াদি অষ্ট গুন যুক্ত) দেবতা দের কারু কার্য্যসাধক সর্বাভীষ্ট প্রদানকারী হে বিশ্বকর্মা আপনাকে নমস্কার ।