নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে, কংগ্রেসের যেন বড়ই দুর্দিন চলছে। কয়েক মাস আগেই দল ছেড়েছেন কংগ্রেসের তরুণ তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কিছুদিন থেকেই দলের সঙ্গে মনোমালিন্য হচ্ছিল কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটের। কিন্তু গতকাল রাহুল গাঁন্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গাঁন্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিদ্রোহে ইতি টেনে রাজস্থান ফিরলেন কংগ্রেসের তরুণ নেতা শচীন পাইলট।
জয়পুর নেমেই তিনি বলেছেন, “মনে কোনও বেদনা নেই। কখনই রাজ্য সরকারের অংশ ছিলাম না। তবে, প্রদেশ কংগ্রেস পরিবারের কর্তা হিসেবে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। আমি নিজের জন্য কোনও পদের দাবি করিনি। শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছি, যে বিধায়করা বিরোধিতা ভুলে মূলস্রোতে ফিরছেন, তাঁদের যাতে প্রতিহিংসার শিকার না হতে হয়।” সোমবার প্রায় দু’ঘণ্টা দিল্লিতে রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের এই তরুণ মুখ। তার কয়েকদিন আগে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন শচীন পাইলট। সেই থেকে বরফ গলার শুরু। এমনটাই দাবি করেছে কংগ্রেসের একটা সূত্র। জানা গিয়েছে, রাহুল-প্রিয়াঙ্কা পাইলটকে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁর বিক্ষোভ শুনতে একটা কমিটি গঠন করবে হাইকমান্ড। সেই কমিটির অংশ হবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ পাবেন না পাইলট। তাঁকে পুনর্বাসন দিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হতে পারে। তবে, বাকি ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে পরের রদবদলে মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শচীন পাইলট বলেছেন, “একটা বাড়ি কিংবা গাড়ির জন্য আপনি অবস্থান চান না। আপনার পরিসর, সম্মান, মর্যাদা এগুলোও দরকার। সেই জায়গাটা হারিয়ে যাচ্ছিল। তাই দলের নেতৃত্বকে বার্তা দিতে আমি গলা চড়াই। আপনার কাউকে ভালো না লাগতে পারে, কিন্তু টিমওয়ার্ক বলে একটা বিষয় আছে।”