নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে, অনেক জল গড়িয়ে শেষমেষ অনুষ্ঠিত হল সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)। রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় শান্তি, সুরক্ষা এবং নির্বিঘ্নে শেষ হলাে চলতি বছরের নিট পরীক্ষা। ছাত্রদের স্বার্থে আগেই ১২ সেপ্টেম্বরের লকডাউন তুলে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তায় অতিরিক্ত বাস নামানাের নির্দেশ দেয় সরকার। রাজ্যের আর্জিতেই এদিন পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ মেট্রো পরিষেবা দেওয়া হয়।
চলতি বছর সারা দেশে মােট নিট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ। এ রাজ্যে মােট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৮ হাজার। এদিন দুপুর দুটো থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। সারা রাজ্যে ১৯০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কলকাতায় ৬৬টি পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়েছিল। রবিবার সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু হয় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড় করানাে হয় পরীক্ষার্থীদের। এরপর নির্দিষ্ট সময় তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢােকার অনুমতি দেওয়া হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থার্মাল গান দিয়ে প্রত্যেকের দেহের তাপমাত্রা মাপা হয়। গেটে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিতরণ করা হয় পরীক্ষার্থীদের।
নিট পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে রাজ্য পরিবহন দফতর এদিন কলকাতা ও জেলায় অতিরিক্ত সরকারি বাস চালানাের সিদ্ধান্ত নেয়। রবিবার রাস্তায় নামে বেশি সংখ্যক এসি বাস। একইসঙ্গে অতিরিক্ত ফেরি ও ট্রাম চালানাের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য পরিবহন দফতর। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের আর্জি মেনে এদিন কলকাতা ও জেলায় অতিরিক্ত বাস নামানাের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন। সেই অনুযায়ী অন্যদিনের তুলনায় বেশি সংখ্যক বেসরকারি বাস এদিন রাস্তায় নামে।
অতিমারি পরিস্থিতিতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং নিট পরীক্ষা স্থগিতের আবেদন জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সহ ৬ রাজ্য। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাই পরীক্ষার্থীদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিতে শুরু করে রাজ্য সরকার। ছাত্রদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে রবিবার মেট্রো চালানাের আর্জি জানায় রাজ্য। সেই অনুযায়ী এদিন শুধুমাত্র পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের জন্য মেট্রো পরিষেবা দেওয়া হয়। রবিবার সকাল ১০টা থেকেই চালু হয় নিট স্পেশাল মেট্রো। সন্ধে ৭টা পর্যন্ত এই পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘােষণা করে মেট্রো। আপ এবং ডাউন মিলিয়ে এদিন মােট ৩৭ জোড়া নিট স্পেশাল ট্রেন চালানাের সিদ্ধান্ত নেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পেরেছেন। যাদের স্মার্ট কার্ড নেই, তাঁদের জন্য কাগজের টিকিট দেওয়া হয়েছে।