তাবলীগ জামাতীদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য ভারত কে চাপ একাধিক রাস্ট্রের।

আন্তর্জাতিক বিদেশ

নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বে চলছে করোনা ত্রাস, চীন থেকে এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। কিন্তু এদেশে করোনা সৃষ্টির জন্য নাকি তাবলীগী জামাতের সদস্যরাই দায়ী। প্রায় ৪৫ টি রাষ্ট্রের ২৫৫০ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন এই তালিকায় । আর এজন্যই তাদের প্রায় ৫ মাস ধরে জেলবন্দী থাকতে হয়েছে, অনেকে আবার ছাড়া পেয়েও দেশে ফিরতে পারছেন না।‌

আর এতদিন ধরে তাদের এদেশে আটকে রাখাতে, বেজায় চটেছে পড়সি দেশ গুলো। অবশ্য, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও অভিবাসন দফতরের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয় করে বিদেশিদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা শুরু করেছে।

দৈনিক পুবের কলম সুত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক আগে ভারতের সফররত বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিলংকার কাছেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ বিষয়টির উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত ১৭৩ জন বাংলাদেশি তবলিগ-ই-জামাতের অনুগামীকে আটক রাখা হয়েছে। তিনি দ্রুত তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানাের জন্য অনুরােধ করেন। জনাব মােমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার আরও উদ্বিগ্ন যে ভারতে আটককৃত তাদের নাগরিকদের টাকা-পয়সা ফুরিয়ে গেছে এবং মুক্তির জন্য জরিমানা দেওয়ার মত অর্থ তাঁদের কাছে নেই। ভারতের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব দ্য হিন্দু পত্রিকাকে বলেছেন, আটক বিদেশিদের মধ্যে ৫৫০ জন ইতিমধ্যে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছে আর ১০৩০ জনকে আদালত দেশে ফেরার জন্য মুক্তি দিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া তাদের দূতাবাস মারফত ভারত সরকারের কাছে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া ভারত-আশিয়ান বৈঠকে তারা তাদের নাগরিকদের আটক থাকার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ভারত সরকারের কাছে তাদের ৬ জন নাগরিকের গ্রেফতারি কথা জানিয়ে তাদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলেছে।

বিদেশি কয়েকটি দূতাবাস বলেছে, তবলিগ-ই-জামাতের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ‘অপরাধে’ মাসের পর মাস খুবই আশঙ্কাময় অবস্থায় তাদের নাগরিকদের আটক রাখা হয়েছে।

ব্রাজিলের দূতাবাস বলেছে, তাদের ৪ জন নাগরিক এ বিষয়ে কিছুই জানতেন কারণ লকডাউনে জনতা কারফিউর জন্য তাদের বিমান বাতিল হয়ে গিয়েছিল। ফলে তাঁরা নিজামুদ্দিনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। পুলিশ তাঁদের পরবর্তী ফ্লাইট ধরতে দেয়নি। ৪ মাস পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর তাদের ওপর নির্দেশ জারি করা হয়েছে, তাঁরা ১০ বছর ভারতে আসতে পারবেন না।

অনেক বিদেশি মুক্তি পেয়েও বাড়ি যেতে পারছে না কারণ তাদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। তবলিগ-ই-জামাতে জন্ম ১৯২৬ সালে আর তবলিগের অনুগামীরা ভারত- বাংলাদেশ শুধু নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সফর করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *