নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: সেই ২০১৪ থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অবক্ষয়। -এ যেন থামছেই না। আর লোকসভা নির্বাচনের রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের পর, নতুন করে সভাপতি বাছতে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস। অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন সনিয়া গান্ধী। কিন্তু এবার অন্তর্কলহ ও নেতৃত্বের সংকট নিয়ে ২০ জন কংগ্রেস নেতা সম্প্রতি সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছেন।
এবিষয়ে ‘এনডিটিভি বাংলা’ জানাচ্ছে, কংগ্রেস সভানেত্রীকে পাঠানাে চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে দলের সাংসদ, প্রবীণ নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের। একাধিক রাজ্যে চলা নবীন বনাম প্রবীণ দ্বন্দ্ব, সাংগঠনিক অস্থিরতা নিয়ে তাঁরা মােটেই সন্তুষ্ট নয়। এই প্রসঙ্গই সেই চিঠির মূল বিষয়বস্তু। এই সঙ্কটে সংগঠনের নীচুতলার কর্মীদের মনােবল তলানিতে ঠেকছে। এই দাবি করে অবিলম্বে আত্মসমীক্ষার পক্ষে সওয়াল করেছেন চিঠি প্রেরক।
সােমবার সেই চিঠির বিষয়ে আলােচনা করতে দলের নীতি নির্ধারণ কমিটি বৈঠকে বসছে, কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই খবর। দলের শীর্ষ নীতি নির্ধারণ কমিটি তথা ওয়ার্কিং কমিটি সােমবার অনলাইনে এই বৈঠক করবে। যদিও কংগ্রেসের পরিচিত মুখের তরফে এইচিঠির কথা অস্বীকার করা হয়েছিল।কিন্তু এক সপ্তাহ আগে এবিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে টুইট করেছিলেন দলের প্রাক্তন মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা। সেই টুইটের সমালােচনায় সরব হয়েছিলেন হাইকমান্ডের একাধিক সদস্য।
তাঁদের অভিযােগ, “ফেসবুক কেলেঙ্কারি থেকে নজর ঘােরাতে বিজেপি এই অদৃশ্য চিঠির গুজব ছড়িয়েছে।” যদিও এই অভিযােগের পাল্টা দিয়েছেন দলের সদ্য বিদ্রোহী নেতা সঞ্জয় ঝা। সূত্রের খবর, এই সঞ্জয় জানা একমাস আগে শচীন পাইলট প্রসঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে টুইট করে হাইকমান্ডের রোষানলে পড়েছিলেন। তাঁকে মুখপাত্রের পদ থেকে সরানাে হয়েছিল।