নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ বিধানসভা যুব কংগ্রেসের ডাকে ‘পৌরসভা চলো’ কর্মসূচি পালন করা হল, মুর্শিদাবাদ তথা লালবাগ পৌরসভায়। মুর্শিদাবাদ পৌরসভার বিভিন্ন কাজকর্মকে সামনে রেখে ও শহরের জনসাধারণের দাবিসমূহ কে সামনে রেখে বিগত এক মাস ব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করার মাধ্যমে মানুষের সমর্থন সহ ১১ দফা দাবি নিয়ে ‘পৌরসভা চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভা যুব কংগ্রেসের সভাপতি সিদ্দিক আলী।
এদিন বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে, সিদ্দিক আলীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল চেয়ারম্যানের কাছে, ১১ দফা দাবি নিয়ে স্বারকলিপি জমা দেন। মুর্শিদাবাদ ব্লক যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে ১১ দফা দাবি পৌর চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
১) শহরের প্রকৃত গরিব মানুষদের ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে।
২) ওয়ার্ডভিত্তিক ঘরের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৩) পৌরসভার অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে এবং তাদের প্রত্যেকের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৪) পুরসভার সমস্ত পুর কর্মচারীদের বেতন নূনতম ১৫ হাজার টাকা করতে হবে।
৫) বিগত পাঁচ বছরের আয়-ব্যয়ের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
৬) এছাড়াও পৌরসভায় পানীয় জল , রাস্তা , জল নিকাশী ব্যবস্থা সহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়া হয়েছিল।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন লালবাগ মহাকুমার কংগ্রেস সভাপতি মর্তুজা হোসেন , মুর্শিদাবাদ শহর কংগ্রেস সভাপতি অর্ণব রায় মহাশয়। যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অনিরুদ্ধ ঘোষ, শহর যুব কংগ্রেসের সভাপতি ওয়াকার আব্বাস আলী মির্জা ,কার্যকারী সভাপতি সুকুমার হাজরার, মহাকুমা যুব নেতা সুজিত দাস, লালবাগ মহাকুমার যুব সভাপতি মলায় মুখার্জী, মুর্শিদাবাদ শহর যুব সভাপতি আব্বাস আলী মির্জা , জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জহুরুল হক, সুজিত দাস, সুকুমার হাজরা, খকন মন্ডল ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব সহ স্থানীয় যুব নেতৃত্ব।
এ প্রসঙ্গে, মুর্শিদাবাদ ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি সিদ্দিক আলী জানিয়েছেন “যতদিন পর্যন্ত প্রকৃত গরিব মানুষদের ঘরের ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে মুর্শিদাবাদ পৌরসভার বিভিন্ন প্রান্তে পানীয় জল রাস্তা জল নিকাশী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছি না ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে। ডিপুটেশন কর্মসূচি আমাদের লড়াইয়ের শেষ নয়, এ আমাদের লড়াইয়ের শেষের শুরুও নয়, কিন্তু আমি সোচ্চারে ঘোষণা করতে পারি বন্ধুগণ, এ আমাদের লড়াই শুরুর শেষ।”
মুর্শিদাবাদ শহর কংগ্রেস সভাপতি অর্ণব রায় জানিয়েছেন “যুব কংগ্রেস যেভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলছে তাতে আমি গর্বিত। কেননা মুর্শিদাবাদ পৌরসভা আজ জনসাধারণের পৌরসভা নয় , তৃণমূল কংগ্রেসের সুবিধাভোগীদের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা প্রকৃত গরিব মানুষ এবং পৌরসভার থেকে সুবিধা পাওয়ার যোগ্য সে সমস্ত মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। আমরা সবসময় যুব কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছি এবং আগামী দিনেও যুব কংগ্রেসের আন্দোলনকে আরও ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডেপুটেশনের দাবি মােতাব্কে যদি কাজ না হলে, আগামীতে সাধারণ মানুষকে নিয়ে পুরসভা অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব।