নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: “যতই কঠিন পরিস্থিতি হোক না কেন এবার আমাদের ভাবতে হবে যে কী করে স্কুল কলেজ খোলা যায়”, আমি না, একথা যিনি বলছেন, তিনি হলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যেখানে তিনি বলেছেন , “রাজ্যগুলির উচিত এখন থেকেই স্কুল খোলার পরিকল্পনা শুরু করে দেওয়া”।
বিশ্বে জুড়ে এখন মানুষের মনে একটাই আতঙ্ক, তার নাম নোভেল করোনা ভাইরাস। আর এই করোনার কারণে গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাতিল ঘোষণা করতে হয়েছে প্রায় সমস্ত পরীক্ষা। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রের তরফ থেকে তো ঠিক করা হয়েছেই, সেইসঙ্গে কয়েকটি রাজ্য থেকেও পরিকল্পনা করা হচ্ছে যে আগামী মাস থেকেই রোটেশন পদ্ধতিতে স্কুল চালু করা হবে কিনা।
আর এবার ডঃ সৌম্যার গলাতেও সেই একই সুর শোনা গেল। তিনি বলেন “ভারতে যদি দ্রুত স্কুল-কলেজ না খোলা হয় তাহলে আরো বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ রাখলে শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতায় ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় সবচেয়ে বিপদজনক প্রভাব পড়বে দরিদ্র এবং প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়াদের উপর। কারণ সেসব জায়গায় অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করার কোন ব্যবস্থা নেই। স্কুল না খুললে হয়তো তাদের আর কোনদিনও স্কুলের গন্ডিই টপকানো হবেনা”।
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন স্কুল থেকে বাইরে থাকলে পড়ুয়াদের মধ্যে বিশেষ করে যারা মেয়ে তাদের বাল্যবিবাহের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। তারা অনেক সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে বাড়িতেই নিগ্রহের শিকার হয়। নাবালকদের প্রতিও কম কিছু অত্যাচার হয় না বাড়িতে যখন থাকে”, বলছেন ডক্টর স্বামীনাথন।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা কী করে সম্ভব?
এর উত্তরে স্বামীনাথন বলেন, “ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত আমাদের হাতে যা যা ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে। আরো বেশি করে টেস্ট করতে হবে। আইসোলেশন এ পাঠাতে হবে। প্রথম ধাপে যে সকল জেলায় সংক্রমণ কম সেখানে স্কুল খোলা দিয়ে শুরু করুক রাজ্য সরকার, পরামর্শ দিয়েছেন হু এর প্রধান গবেষক”।