নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যে তথা দেশবাসীর। নির্বাচনী ফলাফল বেরোনোর পরেও ক্সাইম্যাক্সের কেন্দ্রে ছিল নন্দীগ্রাম। এই নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও জিতে যাওয়া প্রার্থী হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। আগে তারা দুজনেই অবশ্য একযোগে সরকার সামলেছেন। আর এবার বিরোধী আসনে বসে বিপর্যয় পরবর্তী সময়ে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ধাক্কায় বিপর্যস্ত দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনাকে ছন্দে ফেরাতে রাজ্য সরকারের কাছে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার দাবি করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে নিজের কার্যালয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ৬ বিজেপি বিধায়ককে পাশে নিয়ে এই দাবি জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানাচ্ছি রাজ্য সরকারের কাছে। ত্রাণ এবং মানুষের পাশে যদি সত্যিই উনি (মুখ্যমন্ত্রী) দাঁড়াতে চান তাহলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করুন।”
আরও পড়ুন:
ত্রাণ শিবিরে করোনা ছড়িয়ে দাও! বার্তা বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপে
ত্রাতা অধীর। রাজ্য সরকারের অনুমতিতেই ৫০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল হতে পারে মুর্শিদাবাদে
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখুন সব তথ্য
জনপ্রিয়তা তলানিতে, উত্তরপ্রদেশ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আশা করব, প্রশাসন এই ধরনের বিপর্যয়ের সময়ে দলমতের ওপরে উঠে কাজ করবে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য তৈরি।’’ একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের বরাদ্দকৃত অর্থ ১,০৮৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৮০০ কোটি। সেই টাকার প্রথম কিস্তির ৪০৪ কোটি কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেছিলেন রাজ্যের ১ হাজার কোটি, কেন্দ্রের ৪০০ কোটি খরচ করেছেন। সেগুলো কোথায় খরচ করলেন দেখতে পাইনি। আমরা দাবি করছি, কোথায় কোথায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন, কারা কারা পেয়েছেন, এটা আপনারা জানান।”
শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবিকে কটাক্ষ করে পাল্টা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘সরকার এখন যে কাজ করছে তাতে বিরোধী বা শাসক বলে কোনও কথা নেই। আর এখন তো তর্ক-বিতর্ক করার সময় নয়। এই সময় সবাই মিলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়। এখন পর্যালোচনা করতে বসলে আর বাঁধ বাধা হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ইয়াসের পর থেকেই আমরা সবাই নেমে পড়েছি কাজে। কার্যক্ষেত্রে এখন সবার এগিয়ে এসে কাজ করা উচিত। বৈঠকের যে সব দাবি করা হচ্ছে, তা পরে হবে। এখন এ সব বিতর্ক না করে জনগণকে কী ভাবে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায় সে কথা সবাই মিলে ভাবি। জনপ্রতিনিধিকে কি আমন্ত্রণ করে আনতে হবে? আমিও তো জনপ্রতিনিধি। আমাকে তো কেউ আমন্ত্রণ করেননি।”