নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: রাখীবন্ধন উৎসব বা রাখীপূর্ণিমা আমাদের দেশের একটি উৎসব। এই উৎসব ভাই ও বোনের মধ্যে প্রীতিবন্ধনের উৎসব। সাধারণত হিন্দু ,মুসলিম , জৈন, বৌদ্ধ ও শিখরা এই উৎসব পালন করে থাকে। এই দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। এই রাখীটি ভাই বা দাদার প্রতি দিদি বা বোনের ভালবাসা ও ভাইয়ের মঙ্গলকামনা এবং দিদি বা বোনকে আজীবন রক্ষা করার ভাই বা দাদার শপথের প্রতীক। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব উদযাপিত হয়। চিতোরের বিধবা রানি কর্ণবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সাহায্য প্রার্থনা করে একটি রাখী পাঠিয়েছিলেন। এর পর থেকে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
রাখীবন্ধন উৎসবের দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতের কবজিতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। পরিবর্তে ভাই বোনকে উপহার দেয় এবং সারাজীবন তাকে রক্ষা করার শপথ নেয়। এরপর ভাই-বোন পরস্পরকে মিষ্টি খাওয়ায়। উত্তর ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ে সহোদর ভাইবোন ছাড়াও জ্ঞাতি ভাইবোন এবং অন্যান্য আত্মীয়দের মধ্যেও রাখীবন্ধন উৎসব প্রচলিত।
আরও পড়ুন:Horoscope Weekly: দেখুন এই সপ্তাহের রাশিফল (০৭/০৮/২২ থেকে ১৩/০৭/২২)
এবছর ১১ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার রাখি পূর্ণিমা উৎসব পালিত হবে। এ দিন বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধার আগে এই কাজগুলি যদি করতে পারেন, তা হলে ভাইয়ের জীবনে সাফল্য আসতে সময় লাগে না।
১) সংসারের মঙ্গলের জন্য এ দিন বাড়িতে লক্ষ্মী দেবী ও শ্রীবিষ্ণুর পুজো করুন।
২) এ দিন সকালবেলা স্নান সেরে পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে কালো তিল জলে ভাসিয়ে দিন। এর ফলে পিতৃ পুরুষরা তাঁদের কৃপা সর্বদা বর্ষাবেন।
৩) বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধার আগে শ্রীকৃষ্ণকে একটি রাখি পরান।
৪) ভাইকে যে রাখি বাঁধা হবে সেই রাখিটা অবশ্যই মা লক্ষ্মী এবং শ্রীবিষ্ণুর চরণ স্পর্শ করিয়ে নিন। তার পর রাখি বাঁধুন।
৫) রাখির সুতোর রং যেন কালো না হয়। লাল, হলুদ এবং সাদা রঙের সুতোর রাখি খুবই শুভ হয়।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, আনন্দবাজার পত্রিকা