নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। একেই করোনা, মানুষের মনে ত্রাহি ত্রাহি রব। তার উপর আবার মহাপ্রলয়ের আশঙ্কা।
সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত, নেচার ম্যাগাজিনের রিপাের্ট বলছে, এক বছরে গ্রিনল্যান্ড বা সুমেরু থেকে ৫৩২ বিলিয়ন টন বরফ গলে গিয়েছে! অর্থাৎ ৫০ হাজার কোটি টনের বেশি বরফ জলে পরিণত হয়েছে! অর্থাৎ সমুদ্রগুলিতে প্রতিদিন ৩০ লক্ষ টন জলের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে মহাপ্লাবনের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পৃথিবী ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে। প্রতিবছর বাড়ছে তাপমাত্রা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। সম্প্রতি ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব লিনকন তাদের গবেষণায় জানিয়েছে,সুমেরুর বরফ গলার কারণে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের সমুদ্রস্তরের উচ্চতা ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বরফ গলার যে মডেল আশঙ্কা করা হয়েছিল, মেরুপ্রদেশের বরফ তার চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত গলছে। গত বছরই গ্রিনল্যান্ডের তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বরফের ব্লক ভেঙে পড়েছিল। এর ফলে গত বছর স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি বেড়েছে জলতল।
গবেষকদের এই রিপাের্ট জুলাইয়ের শেষে নেচার ম্যাগাজিনে প্রকাশিতও হয়েছে। এতে বলা হয়, আর্কটিক মহাসাগরে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের বরফ স্তরে ৪০ থেকে ১০০ বছরে কয়েক দফায় ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত অন্যতম গবেষক এবং প্রফেসর জেনস হেসেলবার্গ ক্রিস্টেনসেন এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি, সমুদ্রের নিকটতম বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা বাড়ছে, যে কারণে মেরুর বরফ দ্রুত গলছে।” জানা গিয়েছে, এত দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি আগের বরফ যুগে দেখা গিয়েছিল। চলতি সময়ে এমন অবস্থা দেখে আতঙ্কে ভুগছেন বিজ্ঞানীরা।