নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: তিনি শুভেন্দু অধিকারী, একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন লোকসভার সদস্য। তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত সাংসদ। তিনি একজন সাম্মানিক স্নাতক। তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী শিশির অধিকারীর পুত্র। আবার তিনি ওপেনিং ব্যাটসম্যানও। আর তাইত ব্যাট করতে নেমে একের পর এক ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন সদ্য বিজেপি যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি যোগ দেওয়ার পর অবশ্য গত মঙ্গলবার ছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে একই মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম সভা। সভার শুরুতেই অবশ্য দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন সভার মুখ্য আর্কষণ শুভেন্দু। এমনকি বক্তৃতার শুরুতেই শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ বললেন, “দলে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন।”
তবে শুভেন্দু যে আশা নিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন তা কী পূরণ হবে না? কারণ দফায় দফায় যে ছবি দেখা গেল তাতে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় দেখা গেল না শুভেন্দু কে।
সম্ভাবনা ১: একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সিংহাসনের মত একটা আসনে পায়ের উপর পা তুলে বসে রয়েছেন দীলীপ ঘোষ। পাশে ডেকারেশনের দেওয়া একটি সাদামাটা চেয়ারে বসে শুভেন্দু।
সম্ভাবনা ২: মঞ্চে উঠেই দিলীপ ঘোষ শুভেন্দু অধিকারী কে সম্বোধন করতে গিয়ে জানান, “বিজেপিতে যোগ দিয়ে নিষ্ঠার সাথে তিনি যে ভাবে সাধারণ কর্মী হিসেবে এসেছেন তা দারুণ ব্যাপার।” অর্থাৎ দিলীপ ঘোষ কি পরোক্ষ ভাবে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন শুভেন্দু কে কর্মী হয়েই থাকতে হবে?
সম্ভাবনা ৩: ওই সভাই ১৫ মিনিটের বক্তব্যে শুভেন্দু জানিয়েছেন, “দল যদি তাঁকে মনে করে বিধানসভায় টিকিট দেবে না তাতেও কোনও সমস্যা নেই।” তার মানে দল কি তাকে টিকিট দেবে না?
সম্ভাবনা ৪: তিনি আরও বলেন “তিনি মাটিতে বসে মিটিংয়ে যোগ দেবেন। দিনে ১৬ ঘন্টা খাটবেন। তবে সোনার বাংলা গড়বেন।” তার মত একজন হেভিওয়েট নেতাকে কেন মাটিতে বসার কথা মনে করতে হবে?
যে সপ্ন নিয়ে তিনি দল ছাড়লেন সেই সপ্ন কি অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে নাকি তা গাছ হয়ে ছড়িয়ে পড়বে চারিদিকে সেটাই দেখার….