নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেই একের পর এক বিরোধী শিবির কে ভাঙিয়ে, বিরোধীদলকে কার্যত তছনছ করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই দল ভাঙার খেলায় প্রকট হয়ে উঠেছিল আদি তৃণমূল কংগ্রেস বনাম নব্য তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই। বর্তমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। আর এরই মাঝে সামনে আসল, গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠী কোন্দল।
জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার বর্ধমানে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এরপর সেখানে সাংবাদিকের সঙ্গে, প্রশ্নোত্তর পর্বে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তিনি জানান “দল বললে কাজ করতেই হবে। তাহলে আমাকে মঙ্গলকোটে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। আমি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত নই। এটা আমি পরিষ্কার বলে দিলাম। আমি ওর মেজাজ চিনি। জানি। গত নির্বাচনেও তারা কী করেছে সকলে জানে। সংবাদমাধ্যম জানে। আমি মঙ্গলকোটে গেলে স্বাধীনভাবে কাজ করব। উনি বড় খেলোয়াড়। ওনার কথা আমি কী বলব? আমি ওই পর্যায়ের খেলোয়াড় নই। মারামারি করতে চাই না। কেউ করুক তাও চাই না। এভাবে আমি মঙ্গলকোটে হাত পোড়াতে যেতে পারব না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে সন্ত্রাস হয়েছে বলে বারবার দাবি করেছেন বিরোধীরা। জোর করে ভোট জয়ের অভিযোগও নতুন কিছুই নয়। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যে বিরোধীদের অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দেওয়া হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।