‘নিট’ সফল সোয়েব আফতাব কে ঘুরিয়ে জঙ্গী বলে কটাক্ষ! প্রতিবাদে ছয়লাপ ফেসবুক

Breaking News দেশ

ওয়াজুদ্দিন আহাম্মেদ, ডোমকল: সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমানে যেকোনো বিষয় সবার আগে মানুষের কাছে পৌঁছানোর সবথেকে সহজ উপায়। আর তার জন্য সবথেকে সহজ মাধ্যম ফেসবুক। বর্তমানে গোটা বিশ্বে ফেসবুক ব্যাবহার কারীর সংখ্যা প্রায় ৫বিলিয়ন। সম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে একটি কমেন্ট। কি কমেন্ট?
সেই শিক্ষক
কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে ‘নিট’ পরিক্ষার ফলাফল। আর সেখানে ৭২০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২০ পেয়ে দেশে প্রথম হয়েছে শোয়েব আখতাব। শুক্রবার নিট পরীক্ষার ফলাফল ঘােষনা করে ন্যাশনাল ট্রেস্টিং এসেন্সি। সর্বভারতীয় স্তরে র্যাঙ্কিংএ প্রথমস্থানে রয়েছেন শােয়েব আফতাব। চূড়ান্ত ফলাফল বেরনাের আগে থেকেই একশাে শতাংশ নম্বর পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজস্থানের কোটার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করে শােয়েব। পরীক্ষার পর এনটিএ উত্তরপত্র প্রকাশ করেছিল। সেটা দেখেই শােয়েব অনুমান করেন, তিনিই ‘র্যাঙ্ক ওয়ান! তবে একেবারে ৭২০-ই পেয়ে যাবেন তা ভাবেননি!

এই শোয়েব আখতাব -এর প্রথম হ‌ওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয় জি নিউজ -এর ফেসবুক পেজে। সেখানেই মানিক চন্দ্র দাস নামের এক স্কুল শিক্ষক মন্তব্য করেন যে, “দেখিস জঙ্গি হয়ে যাস না! তোদের স্বভাব ত!” ফেসবুক সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষকের বাড়ি দূর্গাপুরে।

-এরপর‌ই সোশ্যাল মিডিয়া তথা ফেসবুক ছয়লাপ হয়ে যায় ওই শিক্ষকের নিন্দাই। প্রশ্ন ওঠে একজন নিট সফল ছাত্র কে কিভাবে একজন শিক্ষক এতটা নিম্ন রুচির কথা বলতে পারেন? তাহলে তিনি বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের কি শিক্ষা দেন?

মানসুর রহমান নামের একজন লেখেন, “সাফল্যে একজন শিক্ষকের এত সুন্দর কমেন্ট দেখে অভিভূত হলাম। এরা নিজেদের শিক্ষক দাবি করছে! ‘মুসলিম বিদ্বেষী’ শিক্ষক নামের কলঙ্ক এরা”

এদিন ফেসবুকে আসলাম মন্ডল নামে একজন লেখেন “ছাত্রের সাফল্যে যদি শিক্ষকের এমন মানসিকতা থাকে, তাহলে এমন শিক্ষক সমাজের পক্ষে কতটা যুক্তিযুক্ত। তিনি এমন নিচু মন নিয়ে কি ভাবে ছাত্রদের পড়ান? আমার মনে হয় , এরকম শিক্ষকদের চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।”

মির্জা সাহানেওয়াজ লিখেছেন “ছাত্রের সাফল্যে একজন শিক্ষকের মন্তব্য দেখে অভিভূত হলাম। এরাই নাকি মানুষ গড়ার কারিগর। ভেবে দেখুন কোন শিক্ষায় শিক্ষিত করছে ছাত্রদের profile link”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *