নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: হাওড়া, শিয়ালদহ ডিভিশনে লােকাল ট্রেন কীভাবে চলবে, বিষয়টি পুরােপুরি নির্ভর করছে রাজ্যের উপর। এজন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছে রেল কর্তারা।
এ প্রসঙ্গে সােমবার শিয়ালদা ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “খুব শীঘ্রই রেল ও রাজ্য বৈঠকে বসবে। রাজ্য সরকার লােকাল ট্রেন চলাচলের নিয়মকানুন বেঁধে দেবে। কতগুলি ট্রেন চলবে, সেই ট্রেনে কোন শ্রেণির যাত্রী উঠবেন, কোন স্টেশনে কত ট্রেন দাঁড়াবে। কোথায় গালপিং দেওয়া হবে, কখন ট্রেন কতগুলি চলবে, কটা থেকে কাটা পর্যন্ত ট্রেন চলবে, সে সবই ঠিক করে দেবে রাজ্য। রাজ্যের গাইডলাইনস পাঠানাে হবে বোর্ডে।”
বোর্ড সে বিষয়টি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে ছাড়পত্র নেবে জানিয়েছেন তিনি। একই সুরে হাওড়া ডিআরএম ইশাক খান বলেন, “ট্রেন চলাচলের রূপরেখা তৈরি করবে রাজ্য। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব কম সংখ্যক ট্রেন চলবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেই বিষয়টার গাইডলাইন দেবে রাজ্য।”
তিনি জানিয়েছেন, ডিভিশনে অসংখ্য ট্রেন, যাত্রী অগুনতি। কিন্তু প্রথমে সব যাত্রীকে নিয়ে চলাচল হবে না। রাজ্য বলবে, প্রথমবারের কারা ট্রেন ছাড়ার সুযোগ পাবেন, রােডসাইড স্টেশনের কোনদিক দিয়ে যাত্রী স্টেশনে ঢুকবেন ও বেরবেন তা নির্ধারণ করবে জিআরপি। সহযােগিতায় থাকবেন আরপিএফ কর্মীরা। ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃঙ্খলার জন্য দায়িত্ব জিআরপিরই।
পাশাপাশি, রেল গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলােতে নিজেদের মতাে করে সাজিয়ে নিচ্ছেন। যাকে ইন্টারনাল বিষয় বলে জানিয়েছেন ইশাক খান। যেমন ব্যস্ত স্টেশনগুলােতে কী ভাবে যাত্রীরা চলবেন সে বিষয়টি নিয়ে সাজগােজ চলছে স্টেশনগুলিতে। বসার সিটে দূরত্ব মেপে মার্ক, কম সংখ্যক যাত্রী যাতে দূরত্ব বিধি মেনে স্টেশনে দাঁড়াতে পারে এজন্য দূরত্ব মেনে সার্কেল কাটা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় পানীয় জলের ট্যাপ লাগানাে, পা দিয়ে চালনা করার মতাে সানিটাইজার মেশিন, থার্মাল গান ব্যাবহার ইত্যাদি থাকছেই।
বিভিন্ন স্টেশনে এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। রাজ্যের বিধি জেনেই বাের্ডে জানাবেন সে কথা। এরপর কেন্দ্রের ছাড় নিয়ে চলবে লােকাল ট্রেন। তবে সেপ্টেম্বরের একেবারে প্রথমে লােকাল ট্রেন চলাটা এক প্রকার অস্বাভাবিক। তবে রাজ্য কেন্দ্র বৈঠক খুব শীঘ্র করা হবে। ফলে খুব বেশি দেরি নয়, চালু হবে লােকাল ট্রেন চলাচল বলে রেল কর্তদের মত।
সুত্রঃ দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন