নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে অবশ্য দল ভাঙানোর খেলায় মেতেছিল বিজেপি কিন্তু তাতে সুবিধা হয়নি, উল্টে মানুষ প্রত্যাখান করেছে। সরকার গড়ার লক্ষ্যে এগোনো বিজেপি থমকে গিয়েছে মাত্র ৭৭ টি আসনে। এরপরই রাজ্যে সক্রিয় হয় সিবিআই, আর তাতেই বেজাই চটলেন কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তণ বিজেপি’র চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ।
জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করেছিলেন ভূষণ। জানিয়েছিলেন কাজ করার জন্যেই তার বিজেপিতে যোগদান। কিন্তু নির্বাচন মিটতেই মোহভঙ্গ হয় তার। বিজেপি ছাড়ার পর অবশ্য নির্দল হিসেবেই মানুষের কাছে থাকতে চান তিনি।
Continue Reading:
আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যে শুরু হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর ড্রিম প্রকল্প “দুয়ারে রেশন”
২০২১ সালের ভোটার তালিকা ডাউনলোড করুন সরাসরি। ক্লিক করুন এখানে
মাসিক রাশিফল: বাড়িতে অশান্তির পরিমাণ বাড়তে পারে (মে, ২০২১)
পরীক্ষা হবেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
২০১৪ সালের পর, এই প্রথম জনপ্রিয়তায় একদম তলানীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
দল ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনে নির্দল হিসাবে সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাজ করার লোভে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করেছিলাম। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে কোচবিহারের সাংসদ এবং বিধায়কদের দেখা নেই। উন্নয়ন তো দূরের কথা কোনও কাজের মাধ্যমে এই করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কোন উদ্যোগ নেই তাঁদের। এখন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের সেবা-যত্ন করা উচিত। কিন্তু সেটা ভুলে গিয়ে কেন্দ্র যে চিন্তাভাবনা করছে তার বিরুদ্ধেই আমার এই সিদ্ধান্ত।’’
ভূষণের দলত্যাগ প্রসঙ্গে বিজেপি-র জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, ‘‘ভূষণ সিংহ কেন বিজেপি-তে আসলেন, আবার কেন চলে গেলেন তা আমার জানা নেই। হয়ত তিনি নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিজেপি-তে যোগদান করেছিলেন। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তাই তিনি আবার বিজেপি ছাড়লেন। তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত তিনি দলে যোগদান করেছিলেন। আবার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে তিনি দল ছেড়েছেন। তিনি বিজেপি-তে যোগদান করাতে যেমন দলে কোনও প্রভাব পড়েনি। আবার তিনি বিজেপি ছেড়ে দেওয়াতেও দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’