নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: এক দেশ, এক কর। ২০১৭ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার জিএসটি নামক বিলটি কার্যকর করেন। আর আজ জিএসটি পরিষদের বৈঠকে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে জিএসটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ৯৭,০০০ কোটি টাকার ঘাটতির কারণ হ’ল জিএসটি বাস্তবায়ন। বাকী ঘাটতি করোনা ভাইরাসজনিত মহামারির কারণে।
রাজস্ব সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন যে জিএসটি সংগ্রহের ঘাটতি ভারতের একীভূত তহবিল দ্বারা ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব নয়। জিএসটি পরিষদের বৈঠক শেষে রাজস্ব সচিব বলেন যে, কোভিড -১৯ মহামারীর কারণে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) সংগ্রহ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এপ্রিল-জুলাই মাসে রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণে দেড় লাখ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্র সরকারের কাছে বকেয়া অর্থ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই দাবি করেছে।
এদিন জিএসটি পরিষদের বৈঠকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন যে, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চলতি আর্থিক বর্ষে অর্থনীতি হ্রাস পেতে পারে। তিনি আরাে জানান যে এদিনের পাঁচ ঘন্টা ধরে চলা জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দুটি বিকল্প নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। তিনি আরাে বলেন, আলােচিত বিকল্পগুলি কেবলমাত্র চলতি অর্থবর্ষের জন্যই প্রযােজ্য, জিএসটি কাউন্সিল আগামী বছরের এপ্রিলে আবারও এই বিষয়টি বিবেচনা করবে।