নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। ইউরোপের অনেক দেশেই আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঠেউ। অনেক দেশ হেঁটেছে নাইট কারফিউ -এর পথে। ভারত–সহ বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ এই অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে চলে এলেই ফিরে আসা যাবে জীবনের মূল স্রোতে, এই আশাতেই বুক বেঁধেছে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি সর্বদলীয় বৈঠকে জানিয়েছে, টিকাকরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন দেশের ১ কোটি সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মী।
এই বৈঠকের সভাপতির পদে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখপাত্র ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষন। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূষণ এই বৈঠকে একটি প্রেজেনটেশন দিয়েছেন, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ডাক্তার এবং নার্স-সহ দেশের এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যকর্মীদের পরের সারিতেই রয়েছেন দু’কোটি কর্মী, যাঁরা নিত্যদিন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীরা এবং পুর কর্মীরা। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুই সারির পর তৃতীয় সারিতে রয়েছেন ২৭ কোটি প্রবীণ নাগরিক।
সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল লোকসভা এবং রাজ্যসভার সব দলের নেতাদের। ভার্চুয়াল মিটিং শুরু হয় বেলা সাড়ে দশটায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৫ জন অথবা তার বেশি সংসদ সদস্য রয়েছেন এমন কয়েকটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক দলের মোট ১৩জন নেতা এই বৈঠকে তাঁদের বক্তব্য পেশ করছেন।