নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য জয়ের স্বপ্ন দেখে শেষপর্যন্ত ৭৭টি আসনেই আটকে গেছে বিজেপির বিজয়রথ। অবশ্য রাজ্যবাসী তাদের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, হারার ব্যাথা কিছুতেই মানতে পারছেন না বিজেপি নেতৃত্ব, আর সেকারণেই ভোট পরবর্তী সময়ে সিবিআইয়ের আগমন। আর সিবিআই এসেই নারদ কান্ডে গ্ৰেফতার করেছিল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় কে। আজ অন্তবর্তী জামিন পেলেন চারজনেই।
স্টিং অপারেশনের পাঁচ বছর পর নারদ মামলা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। চলতি মাসে এই মামলায় একসঙ্গে গ্রেপ্তার হন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তারপর টানটান নাটকীয়তার পর জেল হেফাজত হয় প্রত্যেকের। বর্তমানে যদিও গৃহবন্দি অবস্থাতেই ছিলেন প্রত্যেকে।
আরও পড়ুন:
২০২১ সালের ভোটার তালিকা ডাউনলোড করুন সরাসরি। ক্লিক করুন এখানে
জনপ্রিয়তা তলানিতে, উত্তরপ্রদেশ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার
ত্রাণ শিবিরে করোনা ছড়িয়ে দাও! বার্তা বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপে
ত্রাতা অধীর। রাজ্য সরকারের অনুমতিতেই ৫০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল হতে পারে মুর্শিদাবাদে
জানা গিয়েছে, ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ওই চার হেভিওয়েটের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। তবে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেগুলো হল-
১) ওই চার হেভিওয়েটকে মামলার তদন্তকারী আধিকারিকদের সহযোগিতা করতে হবে।
২) বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে যেহেতু নানা বিধিনিষেধ জারি রয়েছে তাই আপাতত ভারচুয়ালি সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের।
৩) বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হওয়ার পর সশরীরে উপস্থিত থেকেও তদন্তে সহযোগিতা করতে হতে পারে।
৪) গৃহবন্দি থাকতে হবে না তাঁদের। বাইরে বেরিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন তাঁরা।
৫) যে কোনও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও হতে পারবেন ওই চার হেভিওয়েট। তবে মামলার বিষয়ে কোনও মুখ খুলতে পারবেন না মন্ত্রী-বিধায়করা।