বন্যা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ (৫) কাহন!

দেশ

নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবছর ভারতবর্ষে বন্যা পরিস্থিতি ও বন্যা হয়। যার ফলে প্রায় প্রতি বছরই প্রাণহানি ও সম্পদহানি ঘটে থাকে। এবার‌ও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। বন্যাই ভাসছে, অসম, বিহার, কেরল প্রভৃতি রাজ্য গুলো।

আর এমত অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অসম, বিহার, উত্তর প্রদেশ মহারাষ্ট্র, কেরালা ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উক্ত বৈঠকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং দেশে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দুই প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা।

বন্যা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ (৫) কাহন….

১) বন্যার পূর্বাভাষের বিষয়ে একটি স্থায়ী ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারী সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাষ ও সতর্কীকরণে জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উপরও তিনি গুরুত্ব দিতে হবে।

২) স্থানীয় বিপর্যয়গুলির কথা বিবেচনায় রেখে রাজ্যগুলির উচিৎ উন্নয়নমূলক এবং পরিকাঠামোর কাজের পরিকল্পনা করা, যাতে এই ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতি কম হয়।

৩) বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর, কেন্দ্রীয় জল কমিশনের মত যে সব সংস্থাগুলি সতর্কবার্তা দেয়, তাদের সমন্বিত উদ্যোগে বন্যার পূর্বাভাষ আরো ভালো করে পাওয়া যাচ্ছে। এই সব সংস্থাগুলি এখন শুধু বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাষ বা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির তথ্যই দিচ্ছে না, এরা কোন অঞ্চলে বন্যা হবার সম্ভাবনা আছে ,সেই তথ্যও জানাচ্ছে। বর্তমানে কৃত্রিম মেধার মত উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাহায্যে নির্দিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া ও বিপর্যয়ের পূর্বাভাষ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে এই সমস্ত সংস্থাগুলি যাতে এই কাজ আরো নিখুঁত ভাবে করতে পারে তার জন্য রাজ্যগুলিকে এদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে౼যার ফলে এলাকার জনসাধারণের কাছে সঠিক সময়ে সতর্ক বার্তা পৌঁছাবে।

৪) এলাকার লোকেরা যাতে সঠিক সময়ে নদী ভাঙন, জলস্তর বৃদ্ধি, বজ্রপাতের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সতর্ক বার্তা পান সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

৫) উদ্ধারকাজ চালানোর সময় ফেসমাস্ক পরা, হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই ধরণের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীতে যাতে ফেসমাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার , সাবান থাকে সেগুলি নিশ্চিত করতে হবে। প্রবীণ নাগরিক, গর্ভবতী মহিলা সহ যারা নানা জটিল অসুখে ভুগছেন, তাঁদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *