নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার কারণে পবিত্র হজ মুবারক প্রক্রিয়া সীমিত ও সংক্ষিপ্ত হলেও এবারই প্রথম মহিলা পুলিশ নিয়োগ করেছিল সউদি আরব। তারপর পবিত্র মক্কা ও মদিনা শরীফের দুই পবিত্র মসজিদের পরিচালনা কমিটিতে ১০ মহিলা সদস্য নিয়োগ করল দেশটির হজমন্ত্রক।
রিয়াদ প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, নারীজাতির ক্ষমতায়নের নমুনা হিসেবে এই নিয়োগ। উল্লেখ্য, যেখানে এই প্রথম একসঙ্গে ১০ মহিলাকে নিয়োগ করা হল, সেই কমিটি খুবই উচ্চক্ষমতা ও মর্যাদাসম্পন্ন।
রবিবার এ প্রসঙ্গে সরকারি বিবৃতির পাশাপাশি কাবা শরীফের কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের ডেপুটি ডাইরেক্টর আবদুল হামিদ আল-মালেকি বলেছেন, পবিত্র হজ ও উমরাহে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেকই মহিলা। তাই বায়তুল হারাম ও মসজিদে নববীর পরিচালনা কমিটিতে মহিলা সদস্য নিয়োগে মহিলা হজযাত্রী ও উমরাহকারীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে।
মক্কা শরীফের তত্ত্বাবধানের মূল দায়িত্বে থাকা ইমাম ড. শেখ আবদুল রহমান আল-সুদাইস বলেছেন, ১০ মহিলাকে যে নিয়োগ উচ্চপদে করা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের নির্ধারিত গণ্ডির মধ্যে মর্যাদার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। এদেরকে পরিচালনা করবেন ড. সুদাইস নিজে। তাঁদের পদমর্যাদা হল ন্যাশনাল ক্যাডারের সমতুল্য। উল্লেখ্য, পবিত্র কাবাঘরের কিসওয়া এবং হাজরে আসওয়াদ-এর দায়িত্বেও মহিলা নিয়োগ করা হয়েছে।
তবে হজ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে মহিলা নিয়োগের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, এভাবে পশ্চিমা কায়দায় কেন হজের মতো পবিত্রতম ইবাদাতের ক্ষেত্রেও মহিলা নিয়োগ করা হচ্ছে। এতকাল এসব দায়িত্বে মহিলা না থাকায় এমন কিছু অসুবিধা তো হয়নি। তাঁদের মতে, শুধুমাত্র পশ্চিমাবিশ্বকে খুশি করতেই সবক্ষেত্রে মহিলা নিয়োগ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে কী বার্তা দিতে চাইছে সউদি সরকার, এ প্রশ্নও জোরালো হচ্ছে।
লক্ষণীয়- উক্ত খবরটি “পুবের কলম” ওয়েব ডেস্ক থেকে সংগৃহীত।