নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: নির্বাচন কে সামনে রেখে সব দলই নিজের নিজের মত করে রাজনৈতিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বসে নেই জাতীয় কংগ্রেসও। প্রায় দিনই ব্লকে ব্লকে জনসভা, মিছিল করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। গতকাল, অধীর চৌধুরী সভা করেছেন ডোমকলে। সেই সভা থেকেই ইমাম-মোয়াজ্জেম প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
এদিন প্রথম থেকেই বিজেপি ও তৃণমূল কে আন্দোলনের নিশানা করেন তিনি। দলভাঙানো প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কে তিন ভাগে ভাগ করেন তিনি। তিনি বলেন, “তৃণমূলে এখন নানা রকমের লোক ঢুকেছে। ‘অনেক পুরোনো তৃণমূল’, ‘হালে তৃণমূল’, ‘তৎক্ষণাৎ তৃণমূল’।”
‘অনেক পুরোনো তৃণমূল’ সম্পর্কে অধীর চৌধুরীর অভিমত, ‘আদি পুরোনো তৃণমূল’ বলত, “খেতে হবে, রয়ে সয়ে খাও। অনেক দিন ধরে খেতে হবে। শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রেখে খেতে হবে।”
‘হালে তৃণমূল’ সম্পর্কে অধীর চৌধুরীর অভিমত, ‘হালে তৃণমূল’ বলত, “আকাশে মাঝে মাঝে কালো মেঘ হচ্ছে, ঝামেলা করে লাভ নেই। তাড়াতাড়ি খাও, হজম করতে না পারলে, হজমি খেয়ে নাও।”
‘তৎক্ষণাত তৃণমূল’ সম্পর্কে অধীর চৌধুরীর অভিমত, ‘তৎক্ষণাত তৃণমূল’ বলে, “ঝামেলার দরকার নেই, যা পাবি, তা গিলে নে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন তিনি, মুর্শিদাবাদ জেলার সূতী থানায়, কাটমানি পরে দিতে চাওয়ায়, সেলিম সেখ নামে এক ব্যাক্তিকে মারধর করেন শাসকদলের লোকজন। পরে ওই আক্রান্ত ব্যাক্তি মারা যান। এটা নিয়েও তোপ দাগেন অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি সেলিম শেখের এই অকাল মৃত্যু , শাসকদলের কাটমানি ভয়াবহতা কে ভাবিয়ে তুলছে।