তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী যাচ্ছেন বিজেপি তে ও বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ আসছেন তৃণমূলে? আহ্বান একে অপরের

রাজ্য

নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েক মাস পরেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দলবদলের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই দলবদলের প্রবণতা অবশ্য আগে থেকেই রয়েছে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হু হু করে ভাঙিয়েছিল কংগ্রেস কে। এবার তাদের দলকেই ভাঙছে বিজেপি।

তবে গতকালের এই ঘটনা কে ঠিক দলবদলের অ্যাখ্যা দেওয়া যায় না। বরং একে অপরের প্রতি দলবদলের আহ্বান জানানোর কথা বলা যায়। কারণ আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী এবং বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ প্রত্যকেই এক অপরকে দল বদল করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “২০১৯ সালে ১৮টি আসন পেয়েছি। ২০২১ সালে ২১০টি আসন পাব। এবার সরকার গড়বে বিজেপি। অনেকে আমাদের দলে আসতে চাইছেন। তাঁদের স্বাগত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পিকের অনুগত হয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এটা বড় লজ্জার।আলিপুদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীও বিজেপিত আসবেন। তবে সৌরভ এলেও ১০০ কোটি টাকার তদন্ত হবে। সৌরভ টি অ্যাডভাইজারি বোর্ডের দায়িত্বে থাকার সময় কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিল। সেই টাকার তদন্ত হবে।”

অবশ্য চুপ থাকেননি সৌরভ চক্রবর্তী ও। পালটা তোপ দেগেছেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। তাঁর বলেছেন “সৌমিত্র নিজে তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছে। আমার হাত ধরেই ও তৃণমূলে আসতে চাইছে। টি অ্যাডভাইজারি বোর্ডের কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। ওই অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে কীভাবে? এক বছর আগে একই অভিযোগ তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিছু না জানলে যা হয়।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ার শহরে এদিন বিজেপি যুব মোর্চার মিছিলে বিভিন্ন জায়গার নেতাকর্মীরা যোগদান করেন। তাঁদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সব বাধা অতিক্রম করেও বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা মিছিলে শামিল হয়েছিলেন বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *