নজর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ত্রের ঝনঝনানি আর খুনের রাজনীতি যেন পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সমার্থক। সামনেই ২০২১ শের সাধারণ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। নির্বাচনের আর ১ বছরও বাকি নেই। আর এই পরিস্থিতিতে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দল গুলির শক্তি প্রদর্শন। আর এবার শাসকদল দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীকে খুন হতে হল। অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে।
তৃণমূলের যুবশক্তি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের ১নং কুসুমদার বেলাড় গ্রামে। তৃণমূলের অভিযােগ, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে ওই যুবককে।” কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
সংবাদ প্রতিদিন সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বছর বাইশের ওই যুবকের নাম সন্দীপ সুর। বৃহস্পতিবার বালিচকে মাসির বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। স্বাভাবিকভাবেই এরপর যুবকের খোঁজ শুরু করে পরিবার। পরে রাত এগারােটা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে ধান জমিতে মেলে সন্দীপের দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পিংলা থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মৃত যুবকের মা বর্ণালী সুরের অভিযােগ, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। মৃত যুবকের প্রতিবেশী প্রশান্ত জানা বলেন, “ও বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূলের ঢুকেছিল। ভাল ছেলে ছিল, কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না। ভাইকে খুন করা হয়েছে।” তৃণমূলের অভিযােগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে ওই যুবশক্তি কর্মীকে।
এবিষয়ে পিংলার তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ সাবেরথি বলেন, “মৃত সন্দীপ সুর আমাদের নব্য যুবশক্তির কর্মী ছিলেন। বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূলে যুক্ত হন। এলাকায় ভাল কাজ করছিল। আর এটা সহ্য না করতে পেরে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীকে খুন করেছে। অভিযােগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এবিষয়ে পিংলা ব্লকের বিজেপির পশ্চিম মণ্ডলের সভাপতি প্রত্যুষ হােড় বলেন, “এটা তৃণমূলের নিজেদের গােষ্ঠীদ্বন্দ্ব। টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা, তার জেরে খুন হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপির কোনও কর্মী জড়িত নয়।” বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযােগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে জানান তিনি। ঘটনার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা আসল কারণের সন্ধানে পিংলা থানার পুলিশ।