নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: একের পর এক ধর্ষন, অসহায় হওয়ার ধর্ষনকারীর। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসহায় ধর্ষিতা নিজেই। ধর্ষনের সুবিচার চাইতে গিয়ে, ফের একবার নিজের জীবন দিতে হল ধর্ষিতা কে। এক সপ্তাহের লড়াই শেষে, দিল্লির হাসপাতালে শেষ হল আরও এক নির্যাতিতার জীবন।
২০১৯ সালে, ওই মহিলা কে ধর্ষণ করে ঘোশি কেন্দ্রের বিএসপি সাংসদ অতুল রাই। সাংসদের বারাণসীর বাড়িতে ওই দলিত মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একমাসের মধ্যে আত্মসমর্পণও করেছিলেন সাংসদ।
আরও পড়ুন: কল্যাণ সিংহের প্রার্থনা সভায় জাতীয় পতাকার অমর্যাদা করল বিজেপি
কিন্তু মহিলার শেষ জবানবন্দিতে দাবি করেন, ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে সাংসদের পরিবারের কথায় ‘নাটক’ শুরু করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বারাণসী পুলিশ বারবার তাঁকে ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় বলেও অভিযোগ। পালটা হিসাবে ওই দলিত মহিলার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত ১৬ আগস্ট বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে এসেছিলেন নির্যাতিতা। এই মামলা থেকে সাংসদের নাম সরাতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁর উপর জুলুম চালাচ্ছিল। মিথ্যা মামলাতেও ফাঁসিয়েছিল। তার বিচার চাইতেই সাত দিন আগে শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন তিনি ও তাঁর এক বন্ধু। গায়ে আগুন দেওয়ার আগে এসেছিলেন ফেসবুক লাইভে। শেষ ফেসবুক লাইভে কাঠগড়ায় তোলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে। দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে বালিয়া এবং বারাণসী দুটি পৃথক জায়গা থেকে তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে বারাণসী পুলিশের এক পদস্থ কর্তাকে।
আরও পড়ুন: দৈনিক রাশিফল: আপনার অপ্রত্যাশিত প্রকৃতিকে আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক নষ্ট করতে দেবেন না
সুপ্রীমকোর্টের সামনে গায়ে আগুন লাগানোর পর, এক সপ্তাহের লড়াই শেষে, আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।