সম্পাদকীয়: 2014 সালে কংগ্রেসকে কেনো পরাজিত করেছিলেন❓❓

সম্পাদকীয়
Spread the love

নজর বাংলা সম্পাদকীয় ডেস্ক: 2014 সালে কংগ্রেসকে কেনো পরাজিত করেছিলেন❓❓

কখনো একান্তে বসে, প্রশ্ন করেছেন নিজেকে? জানি, নিজেকে প্রশ্ন করে দেখার সৎসাহস আপনি দেখাতে পারবেন না। কারণ, অপ্রিয় সত্যের সম্মুখীন হতে, আপনি ভয় পেয়ে যাবেন।

2014 সালে—-
★ আপনার পকেটে টাকা ছিলো।
★ ঘর সংসার স্বচ্ছন্দে চলে যেতো।
★ 55 টাকায় ডিজেল, 65 টাকায় পেট্রোল পাওয়া যেতো।
★ ডাল 70 টাকায়,, পেঁয়াজ 14 টাকায় কেনা সম্ভব ছিলো।
★ দেরিতে হলেও,, মানুষ নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি জোগাড় করে নিতো।
★ স্যালারি ক্রমবর্ধমান ছিলো, ব্যাবসা দুর্বার গতিতে না হলেও, মোটামুটি চলে যেতো।

আর‌ও পড়ুন: ২০২১ সালের ভোটার তালিকা ডাউনলোড করুন সরাসরি। ক্লিক করুন এখানে

এই সব ন্যূনতম সুযোগ সুবিধার সাথে সাথে, জীবন খানিকটা হলেও, নিরাপদ ছিলো। তখন সরকারের খামতি নিয়ে, ভাবনার সময় ছিলো। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলনের সুযোগ সুবিধা ছিলো। তখন আপনি মানুষ ছিলেন। চুরি-খুন- ধর্ষণ হলে, আপনি আন্দোলনে সোচ্চার হয়ে উঠতে পারতেন। খুলেআম সরকারের সমলোচনা করার অধিকার ছিলো। তখন আপনি মানুষ ছিলেন, কিন্তু, 2014 সাল থেকেই, আপনি মানুষ থেকে হিন্দু/ মুসলমান হয়ে উঠলেন।

কুকুরের বাচ্চা, কুকুর হয়। গাধার বাচ্চা, গাধা হয়েই জন্মগ্রহণ করে। শুয়োরের বাচ্চার পৃথিবীতে আগমন ঘটে, শুয়োর হিসাবেই। কিন্তু, মানুষের বাচ্চা সবসময় মানুষ হবে, এমন গ্যারান্টি কোথায় ?

মানুষের বাচ্চা আজকাল, হিন্দু/মুসলমান/ শিখ/খৃষ্টান হয়ে জন্মগ্রহণ করছে। মানুষ হয়ে জন্মাতে পারছে না।

আর‌ও পড়ুন: কাটমানি নেওয়ার নিরিখে তৃণমূল এখন তিন প্রকার-অধীর চৌধুরী

আমাদের নির্বাচিত সরকারের, সকল ব্যার্থতা, আমরা খাদি কাপড়ের চাদরে ঢেকে দিয়েছি। সরকারের সমস্ত দোষ, আমাদের চোখের আড়ালে চলে গেছে।
নেতাদের কথায় আমরা খুন-ধর্ষনকে ছোট্ট ঘটনা হিসাবে গণ্য করতে লাগলাম।

নিজেকে ধর্মীয় বিভেদের উর্দ্ধে তুলে নিয়ে যান। আগে নিজেকে মানুষ হিসাবে ভাবতে শিখুন। তারপর ভাববেন,, ধর্ম নিয়ে। ধর্মের নামে সম্পন্ন হওয়া, অধর্ম হতে বেরিয়ে আসুন। বর্তমানে আপনি বিপর্যস্ত, নিরাপত্তাহীন,
একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত।

এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাচ্ছেন না ? এই সমস্যা থেকে, নিস্তার পাচ্ছেন না ? নিজেকে অনিরাপদ মনে করছেন ?

আপনি 2014 সালের আগের জীবনের কথা ভাবুন। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। পথ খুঁজে পেয়ে যাবেন।

সেদিন হয়তো স্বর্গীয় জীবনযাত্রা ছিলো না। কিন্তু, যেটা ছিলো, সেটা আজকের নরক যন্ত্রণার চেয়ে ঢে্র ভালো।।

তাই না ?? একবার ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো🙏🙏

কলমে: আলম মিদ্দে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *