নজর বাংলা সম্পাদকীয় ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর “জেলা বিকাশ পরিষদ” নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে গোদী মিডিয়া চুড়ান্ত রকমের ভুলভাল প্রচার করে চলেছে।। দেশের সবকটি নিউজ চ্যানেলের মতে, ধারা 370 তুলে দেওয়ার পর, এই নির্বাচনের ফলাফল দ্বারা প্রমাণ হতে চলেছে যে, জম্মু-কাশ্মীরের বেশীরভাগ মানুষ, কেন্দ্র সরকারের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দান করেছেন।
ঘটনাটি আদৌও কিন্তু তেমন কিছুই না।
আসুন, একটু চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখা যাক….
লেহ-লাদাখ আলাদা করে দেওয়ার পর, জম্মু-কাশ্মীরে সর্বমোট 20 টি জেলা অবশিষ্ট রয়েছে। এবং, প্রত্যেকটি জেলার 14 টি করে জেলা পরিষদ রয়েছে। জম্মুতে 10 টি জেলায় 140 টি আসন এবং পার্বত্য এলাকা কাশ্মীরের 10 টি জেলায় 140 টি আসন রয়েছে।
জম্মুতে সমতল বেশী, পার্বত্য এলাকা একেবারেই কম। কাশ্মীর টোটালি পার্বত্য এলাকা, সমতল একেবারেই নেই।
জম্মুতে বসবাসকারী সিংহভাগ মানুষ হিন্দু এবং শিখ ধর্মের অনুসারী, পক্ষান্তরে কাশ্মীর এলাকার সিংহভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস রাখেন।
2019 সালের লোকসভা ইলেকসনে,জম্মুর দুটি লোকসভা আসনেই, বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। অথচ, জেলা পরিষদ নির্বাচনে, জম্মুতে অবস্থিত 140 টি
আসনের মধ্যে, বিজেপি কেবলমাত্র 71 টি আসনে জয়লাভ করেছে। জম্মুতে বিজেপি বিরোধী জোটের ন্যাশনাল কনফারেন্স 25 টি আসনে জয়লাভ করেছে এছাড়া Cong দলের পক্ষে গেছে 17 টি আসন। বাকি আসনগুলো পিডিপি সহ বিভিন্ন বিজেপি। বিরোধী দলের পক্ষে গেছে।
কাশ্মীরে 140 টি আসনের সিংহভাগ আসন গেছে, বিজেপি বিরোধী জোটের দখলে। বিজেপি কাশ্মীরে মোট 53 টি আসনে প্রার্থী দিয়ে, কেবলমাত্র 3 টি আসনে জয়লাভ করেছে।
মোদ্দাকথা হলো, হিন্দু বহুল জম্মুতে, বিজেপি অর্ধেক আসনে জয়লাভ করেছে, এবং মুসলিম বহুল কাশ্মীরে, তারা কোনো ছাপ রাখতে পারেনি। বিগত 2019 সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে, জেলা পরিষদের ভোট পারসেন্ট মিলিয়ে নিলেই বোঝা যাবে, জম্মু এলাকায় বিজেপি প্রায় 16% ভোট লস করেছে।
অথচ,,l মিডিয়া ফেঁদে চলেছে অন্য রকম গল্প। কি অদ্ভুদ ব্যাপার, তাই না ?? গোদী মিডিয়া বিজেপি দলের এই বিপুল ভরাডুবি-কে, সাফল্য হিসাবে প্রচার করে
চলেছে।
✍️কলমে- আলম মিদ্দে