নজর বাংলা ওয়েব ডেস্ক: দল বদলের খেলা রাজ্য তথা দেশে নতুন নয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালে বিজেপির ক্ষমতায়নের ফলে ও ২০১১ সালে তৃণমূলের ক্ষমতায়নের ফলে তা বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। দল ভাঙিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা হস্তান্তর, সরকার ভেঙে দেওয়া থেকে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি দখল, সবকিছুই হয়েছে। আর যারা দল বদলিয়ে অন্য দলে গিয়েছেন, তারা কেউই যে মানুষের কাজের জন্য যাননি, গিয়েছেন নিজেদের আখের গোছাতে, তা আজ বেশ স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: প্রার্থী নেই! চারটি আসনে প্রার্থীই দিতে পারল না আইএসএফ
২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা এবং দেশের সংসদের মোট ৪৪৩ জন সদস্য রয়েছেন এই তালিকায়। দলত্যাগীদের তালিকায় ৪০৫ জন বিধায়ক, ১২ জন লোকসভার সাংসদ এবং ১৭ জন রাজ্যসভা সাংসদ রয়েছেন বলে জানাচ্ছে এডিআর রিপোর্ট। এঁদের মধ্যে ৪২ শতাংশই কংগ্রেসের। বিজেপি-র দলছুট বিধায়ক মাত্র ৪.৪ শতাংশ। সমীক্ষা সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর)-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্টে এ কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতার পদ থেকে অপসারিত অধীর। নতুন দলনেতা রভনীত সিং বিট্টু
দলত্যাগী বিধায়কদের মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশরই গন্তব্য বিজেপি। রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে কর্নাটক, মণিপুর, গোয়া, অরুণাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়কেরা দল বেঁধে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির সরকারের পতন হয়েছে বিধায়কদের দলবদলের ফলে।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালের ভোটার তালিকা ডাউনলোড করুন সরাসরি। ক্লিক করুন এখানে
এডিআর রিপোর্টে বলা হয়েছে, দলত্যাগী সাংসদ-বিধায়কদের সম্পত্তি গড়ে ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। গণতান্ত্রের মূল ভাবধারার সঙ্গে আপস করার পরেও, তাঁদের অনেকেরই আবার পুনর্নির্বাচিত হতে কোনো অসুবিধাই হয়নি।
আরও পড়ুন: ফের করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি। লকডাউনের পথে হাঁটল মহারাষ্ট্র সরকার